ক্ষমা চাইলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল

mitul marma
ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের বিবর্ণ পারফরম্যান্সের জন্য সমালোচনা হচ্ছে মিতুল মারমাকে নিয়ে। সেটা আমলে নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের গোলরক্ষক চেয়েছেন ক্ষমা। পাশাপাশি আরও শক্তিশালী হয়ে ফেরার বার্তা দিয়েছেন ২১ বছর বয়সী ফুটবলার।

গতকাল মঙ্গলবার কানায় কানায় পূর্ণ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে 'সি' গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে পরাস্ত হয় বাংলাদেশ। দুর্বল ফিনিশিংয়ে বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়ার পাশাপাশি ভাগ্যও সঙ্গ দেয়নি স্বাগতিকদের। অনেক উল্লাস ও উচ্ছ্বাস সত্ত্বেও শেষ বাঁশির পর তাই ভক্ত-সমর্থকদের ফিরতে হয় হতাশ হয়ে।

ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে প্রথম গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। গোলরক্ষক মিতুল পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে বল ফিস্ট করলেও বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন। বরং তা ডানদিকে পেয়ে যান হ্যারিস স্টুয়ার্ট। এরপর তিনি বামদিকে করেন ক্রস। ফাঁকায় থাকা মিডফিল্ডার সং উই ইয়ং কোণাকুণি শটে সিঙ্গাপুরকে এগিয়ে দেন।

৫৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে গোটা গ্যালারিকে স্তব্ধ করে দেন সিঙ্গাপুরের স্ট্রাইকার ইখসান ফান্ডি। এই গোলেও দায় আছে মিতুলের। হামি শাহিনের জোরাল শট তিনি ফিস্ট করলে চলে যায় সামনে থাকা ফান্ডির পায়ে। অর্থাৎ বিপদমুক্ত করা যায়নি। ফান্ডির কোণাকুণি শট দূরের পোস্ট দিয়ে জড়ায় জালে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে মিতুল লিখেছেন কষ্টের কথা, 'আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখজনক মুহূর্তগুলো আমার ওপর বরাবরই তীব্র প্রভাব ফেলেছে। আমাকে এমন অনেক কিছুর মুখোমুখি হতে হয়েছে, যা আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। প্রথমবার আমি সত্যিই কষ্ট পেয়েছি কিছুদিন আগে আমার বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে।'

কঠিন সময় পার করতে থাকা গোলরক্ষক ক্ষমা চেয়েছেন দেশবাসীর কাছে, 'ভাইকে হারানোর এই শোকের মধ্যেও আমি নিজের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দলের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। এজন্য আমি সত্যিই দুঃখিত এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমার জন্য সত্যিই এটি কঠিন সময় ছিল।'

ভেঙে না পড়ে সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জানিয়েছেন তিনি, 'আবারও বলছি, ভুলের জন্য আমাকে ক্ষমা করবেন এবং বিশ্বাস রাখুন, আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব।'

ফান্ডির গোলের আট মিনিট পর স্টেডিয়ামে উপস্থিত ভক্ত-সমর্থকদের মাঝে ফের প্রাণের সঞ্চার হয়। মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী দেখান তার সামর্থ্যের ঝলক। তার রক্ষণচেরা পাস ধরে গড়ানো শট নেন ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন। সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষকের গায়ে লেগে বলের গতি কমে গেলেও শেষমেশ তা গোললাইন অতিক্রম করে।

তবে শেষরক্ষা হয়নি। সমতাসূচক গোলের দেখা আর মেলেনি হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যদের। যদিও ম্যাচে তুলনামূলক বেশি সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ। তাছাড়া, যোগ করা সময়ে নিশ্চিত পেনাল্টির আবেদন জানিয়েও রেফারির কাছ থেকে মেলেনি সাড়া। আর শেষ বাঁশির ঠিক আগে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রসবার।

Comments

The Daily Star  | English

15 army officers in custody taken to tribunal amid tight security

The International Crimes Tribunal-1 is set to review the progress of two cases of enforced disappearance

53m ago