প্রোটিয়ারা অভ্যস্ত হলেও সকালের ম্যাচ নিয়ে শ্রীলঙ্কার অন্য উদ্বেগ

ছবি: সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি কৃত্তিম আলোর নিচে খেলতেই অভ্যস্ত আধুনিক সময়ের ক্রিকেটাররা। দিনের বেলায় ম্যাচ হলেও সেটা বিকালের দিকে থাকে বেশিরভাগ সময়ে। কিন্তু চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বহু ম্যাচ দলগুলোকে খেলতে হবে স্থানীয় সময় অনুসারে একেবারে সকালেই।

সোমবার যেমন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটার (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটা) সময় খেলতে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। এই দুলের অধিনায়কই অনভ্যস্ত এই সময়ে খেলা নিয়ে কথা বলেছেন ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে। প্রোটিয়ারা যেখানে এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মনোভাব গড়ে তোলার চেষ্টা করছে, সেখানে লঙ্কানদের উদ্বেগ তাদের মাঠে আসার যাত্রা নিয়ে।

শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা বলেছেন, 'আমাদের যদি রাতে খেলতে হয়, তাহলে আমরা সবকিছুর প্রস্তুতি রাতেই নেই। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের ক্ষেত্রে, একমাত্র চিন্তার বিষয় হচ্ছে, আমাদের মাঠে আগেভাগে এসে পৌঁছাতে হবে। আমরা মাঠ থেকে অনেক দূরের হোটেলে থাকায় আমাদেরকে সকাল সাড়ে সাতটায় আসতে হবে। মাঠে আসতে প্রায় দেড় ঘণ্টা লেগে যায়। একমাত্র উদ্বেগের বিষয় এটিই।'

সকালের সূচির জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন, লঙ্কানদের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়কের সামনেও এসেছে সেই প্রশ্ন। এইডেন মার্করাম তখন বলেছেন, 'হ্যাঁ, এটা ভিন্ন কিছু। আমরা বেশিরভাগ সময়ই সন্ধ্যায় খেলতে অভ্যস্ত। কিন্তু আমার মনে হয়, এখানে আসার পর থেকে আমরা আগেভাগে ঘুম থেকে ওঠার একটা রুটিনের মধ্যে এসে গেছি। আমাদের দলের একসঙ্গে যেগুলো কাজ, বেশ সকালেই করতে হয়। তো আমি মনে করি, এতদিনে আমরা মোটামুটি অভ্যস্ত হয়ে গেছি সকালে ওঠার ক্ষেত্রে। আর আমার মনে হয়, যেহেতু আপনি বিশ্বকাপে আছেন, ঘুম থেকে একবার উঠে যাওয়ার পর আপনি তৎক্ষনাৎ মনোযোগী হয়ে যাবেন বিশ্বকাপকে ঘিরে রোমাঞ্চের কারণেই।'

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলার পর দক্ষিণ আফ্রিকার পরবর্তী যে দুই ম্যাচ, সেগুলোও প্রোটিয়াদের খেলতে হবে সকালে। একই মাঠে সাড়ে দশটার সময়ে তাদের নামতে হবে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের বিপক্ষে। নিউইয়র্কে তিনটি সকালের ম্যাচ খেলার পর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি মার্করামের দল ফ্লাডলাইটের আলোয় খেলবে। তবে তাদের বিপক্ষে ম্যাচের পর শ্রীলঙ্কাকে আর গ্রুপ পর্বে সকালে কোনো ম্যাচ খেলতে হবে না।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

31m ago