টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

আফগানিস্তানকে বিধ্বস্ত করে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

South Africa

আফগান রূপকথা আর প্রলম্বিত হতে দিল না দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া পেসারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ক্রিকেট বিশ্বকাপ দেখল সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম সেমিফাইনাল। তিন পেসার মার্কো ইয়ানসেন, কাগিসো রাবাদা, আনরিক নরকিয়ার সঙ্গ ঝলক দেখান স্পিনার তাবরাইজ শামসিও। তাদের ঝাঁজে সেমিফাইনাল মঞ্চে স্রেফ ৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। যা অনেকটা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে এইডেন মার্করামের দল।

ত্রিনাদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনাল হলো ভীষণ একপেশে। ৯ উইকেটের বিশাল জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাটিং বেছে  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে সবচেয়ে কম ৫৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার তিক্ত রেকর্ডে নাম লেখায় আফগানিস্তান।  ৬৭  বল বাকি থাকতে ওই রান তুলে আনন্দে মাতে ক্রিকেটের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দল দক্ষিণ আফ্রিকা।

ওয়ানডে টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সাতবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেও প্রতিবারই যন্ত্রণায় পুড়তে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।  ফাইনালে উঠতে না পারায় চোকার্স তকমাও জুটেছে তাদের। এবার সব চাপা দিলেন মার্করামরা।

৫৭ রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারে ফজলহক ফারুকির বলে কুইন্টেন ডি কক ফিরেছিলেন বটে তবে তাতে ম্যাচের প্রভাব ছিলো না। এবার বিশ্বকাপে রান না পাওয়া দুই ব্যাটার রেজা হেনড্রিকস ও অধিনায়ক মার্করাম মিলে কাজটা সারেন অনায়াসে। দলের জয় নিশ্চিত করে হেনড্রিকস ২৯ আর মার্করাম ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। 

টস জিতে ব্যাটিং বেছে যেন নিজেদের মহাবিপদ ডেকে আনে আফগানিস্তান। প্রোটিয়া পেসারদের আগুনে পুড়ে ছারখার হতে থাকে তারা। ইয়ানসেনের প্রথম ওভারে লোভনীয় ড্রাইভ খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন কোন রান না করা রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। এই বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের ওপেনাররা ব্যর্থ হলে মিডল অর্ডার সেটা সামাল দিতে পারেনি, এবার তাদের কোন অর্ডারই তাল পায়নি।

ইয়ানসেন তার পরের ওভারে ভেতরে ঢোকা বলে উড়িয়ে দেন গুলবদিন নাইবের স্টাম্প। রাবাদা বল করতে এসে পর পর দুই বলে স্টাম্প উপড়ান ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবির।

নাঙ্গিয়াল খারোতিকে আগে নামানো হয়েছিলো। ইয়ানসেনের পেস বুঝতে পারেননি তিনিও। একমাত্র যে ব্যাটার দুই চারে দুই অঙ্কে গেছেন সেই আজমতুল্লাহ ওমরজাই শিকার আনরিক নরকিয়ার তাতে ২৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যায় আফগানরা।

পেসাররা ৬ উইকেট ফেলার পর আক্রমণে আসেন তাবরাইজ শামসি। এসেই তিনি এক ওভারে তুলে নেন করিম জানাত ও নূর আহমেদকে। শেষ দিকে নাবিন উল হককে এলবিডব্লিউ করে ইনিংস মুড়েও দেন তিনি। এর আগে আফগান অধিনায়ক রশিদ খানের স্টাম্প উড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস শক্তির ছবি দেখান নরকিয়া। আফগান ইনিংসের সর্বোচ্চ ১৩ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে। ওমরজাই ছাড়া বাকি কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক। অনেকটা টেলিফোন ডিজিটে পরিণত হয় তাদের স্কোরকার্ড।

প্রথম ইনিংসেরই পরই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায় ম্যাচের ফল। বাকি সময়ে চলেছে স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা সারার কাজ।

Comments

The Daily Star  | English

Secretariat protest: Police file case against 1,200 over attacks, vandalism

At least 75 people were injured as clashes broke out at the Secretariat between law enforcers and HSC examinees

1h ago