বুমরাহকে বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য স্বীকৃতি দিতে রাজি কোহলি

জাসপ্রিত বুমরাহ গত কয়েক বছরে যেভাবে বোলিং করে যাচ্ছেন, তাকে বোলারদের মধ্যে আলাদা অবস্থানেই রাখা হয়। এত ভালো কীভাবে করা যায়, তা ভেবে মুগ্ধ হয়েছেন অগণিত দর্শকেরা। বুমরাহকে অষ্টম আশ্চর্য করা যায় কিনা, বিশ্বকাপজয়ী ভারত দলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমন প্রশ্নই চলে আসে বিরাট কোহলির সামনে। কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার তখনই বলে দেন, তিনি রাজি আছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারত দলের জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। সেখানে সঞ্চালক গৌরভ কাপুর এক সময় বলেন, বুমরাহকে অষ্টম আশ্চর্য ও জাতীয় সম্পদ করতে পিটিশন করলে কেমন হয়। টি–টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কোহলি বলেন, 'আমি এখনই পিটিশনে স্বাক্ষর দিব।'

এর আগে বিশ্বকাপ জয়ের পরের কয়েকদিনের অনুভূতি সম্পর্কে কোহলির কাছে প্রথমে জানতে চাওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবারের উদযাপনের দিনটি জীবনে কখনোই ভুলবেন না জানান তিনি। কথার এক পর্যায়ে এরপর নিজে থেকেই বুমরাহকে টেনে এনে তিনি বলেন, 'সবাই যা করলে আমি পছন্দ করবো তা হচ্ছে একজন মানুষের জন্য হাততালি দিতে হবে, যে আমাদের টুর্নামেন্টে খেলায় ফিরিয়ে এনেছে বারবার। সে যা করেছে ওই শেষ পাঁচ ওভারে, পাঁচ ওভারের মধ্যে দুই ওভার বোলিং করে, দুর্দান্ত। একটা বড় হাততালি হোক জাসপ্রিত বুমরাহর জন্য, প্লিজ।'

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে বুমরাহ ১৫ উইকেট নিয়ে হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়। তাকে নিয়ে ফাইনালের ম্যাচসেরা কোহলি আরও বলেন, 'বুমরাহর মতো বোলার কোনো প্রজন্মে একবার আসে এবং আমরা খুব খুশি যে সে আমাদের দলে খেলে।'

ফাইনালে শেষ পাঁচ ওভারে হাতে ছয় উইকেট রেখে ৩০ রানের সমীকরণে চলে এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের ঘরে উঁকি দেওয়া হার সত্যি প্রবেশ করলে ৫৯ বলে ৭৬ রান করা কোহলিকে হয়তো দাঁড়াতে হতো কাঠগড়ায়। কিন্তু ডেথ ওভারে দুই ওভার করে মাত্র ৬ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দেন বুমরাহ। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া ও আর্শদীপ সিংয়ের কার্যকরী বোলিংয়ে ভারত জিতে যায় ৭ রানে।

সবমিলিয়ে কুড়ি ওভারের ২০২৪ সালের বৈশ্বিক আসরটিতে বুমরাহর ইকোনমি ছিল মাত্র ৪.১৮। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের বিশ্বকাপে আর কোন আসরে এত কম ইকোনমিতে কেউ বোলিং করেননি। মুম্বাইয়ে উদযাপনের উপলক্ষে দুর্দান্ত বুমরাহ বলেন, 'সাধারণত আমি কখনোই ম্যাচের পর কাঁদি না। কিন্তু বিশ্বকাপ জিতে, আমার ছেলেকে দেখে, আমি (ফাইনালের দিন) কেঁদেছি দু-তিনবার।'

গতকাল সকালে বার্বাডোজ থেকে দেশে ফিরেছে ভারত। এরপর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক শেষে রোহিত শর্মার দল বিজয় মিছিলে নেমেছিল। মেরিন ড্রাইভে অসংখ্য ভক্তের উপস্থিতিতে ছাদখোলা বাসে উৎসবে মেতে উঠেন তারা। এরপর কানায় কানায় পূর্ণ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে গিয়ে আবার জানিয়েছেন বিশ্বজয়ের অনুভূতি।

Comments

The Daily Star  | English

Vegetable prices skyrocket as erratic rain ravages croplands

Consumers and farmers are bearing the brunt of the radical shift in weather patterns as crops are damaged and retail prices skyrocket.

14h ago