টেক্টর-ক্যাম্ফারের প্রতিরোধের পর মিরাজ-তাইজুলের ছোবল

Mehedi hasan Miraz
উইকেট নিয়ে মিরাজের উল্লাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম সেশনে তিন উইকেট হারানোর পর হ্যারি টেক্টর আর কার্টিস ক্যাম্ফারের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েছিল আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় সেশনে অনেকটা সময় ধরে দলের হাল ধরে রেখেছিলেন তারা। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম এসে পর পর তিন উইকেট তুলে ম্যাচ ফের নিয়ে আসেন বাংলাদেশের দিকে।

মঙ্গলবার মিরপুরে একমাত্র টেস্টের প্রথম সেশনে ২৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৫ ছিল আইশিরদের স্কোর। দ্বিতীয় সেশনে ২৯ ওভার খেলে ৩ উইকেটে হারিয়ে যোগ করে আরও ৮০  রান। চা-বিরতি পর্যন্ত ৫৫ ওভার শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪৫ রান। ১১ রান নিয়ে খেলছেন লোরকান টাকার, ১১ রান করে তার সঙ্গী অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন। এর আগে ৫০ করে আউট হয়ে যান টেক্টর, ৩৪ করে থামেন ক্যাম্ফার।

প্রথম সেশনে ৪৮ রানে পড়েছিল ৩ উইকেট। এরপরই দাঁড়িয়ে যান ক্যাম্ফার-টেক্টর। দুজনেই অভিষিক্ত। টেক্টরের এর আগে ১০টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেললেও ক্যাম্ফারের ছিল স্রেফ একটি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা।

তবে তারা যেভাবে ব্যাট করেছেন তাতে লাল বলে খুব একটা আনকোরা মনে হয়নি। লাঞ্চের আগে জুটি গড়ে লাঞ্চের পরও চালিয়ে যেতে থাকেন দুজন।

কাভার ড্রাইভ, পুলে বের করেছেন বাউন্ডারি। দ্বিতীয় সেশনও পার করে দেয়ার পথে ছিলেন তারা। এক প্রান্তে পেস, আরেক প্রান্তে স্পিন দিয়ে জুটি ভাঙার চেষ্টা করে হতাশ হচ্ছিল বাংলাদেশ।

শেষ পর্যন্ত মিরাজ আনেন ব্রেক থ্রো। ৪২তম ওভারে ভেতরে ঢোকা দারুণ এক ডেলিভারিতে ফিফটি করা টেক্টরকে বোল্ড করেন মিরাজ। এতে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ৭৪ রানের জুটি।

জুটি ভাঙতেই দ্রুত আরেক উইকেট হারিয়ে ফেলে আইরিশরা।  আয়ারল্যান্ডের এই দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ছিলেন পিটার মুর। জিম্বাবুয়ে ছেড়ে আসার পর এই প্রথম আইরিশদের হয়ে খেলতে নামেন তিনি। নিজের সর্বশেষ টেস্টে ২০১৮ সালে এই মাঠেই ৮৩ রানের ইনিংস ছিল তার। অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ মুর করেন হতাশ। তাইজুলকে তুলে মারতে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে থামেন তিনি। খানিক পর ক্যাম্ফারকেও এলবিডব্লিউতে বিদায় করেন তাইজুল। দুই রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা।

এখনো পর্যন্ত ৫৫ ওভার করতে বাংলাদেশ ব্যবহার করেছে ৫ বোলার। বল করতে আসেননি সাকিব আল হাসান।

Comments

The Daily Star  | English

Shibir leading in top two Ducsu posts

Islami Chhatra Shibir-backed vice-president candidate Abu Shadik Kayem was leading the Ducsu polls in six out of 18 halls of Dhaka University.

1h ago