ইউরো ২০২৪

‘এখনো দলীয় ট্রফি যে জিতিনি, এটা গোপন বিষয় না’

harry kane

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে মজা করে বলছেন ইউরোর ফাইনালে ইংল্যান্ড হ্যারি কেইনকে না খেলালেই পারে। তাহলে হয়ত তাদের শিরোপা জয়ের সুযোগ বাড়বে। কারণ ব্যক্তিগত অনেক সাফল্য পেলেও জাতীয় দল বা ক্লাব কোথাও কোন ট্রফি জেতা হয়নি কেইনের। ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা মনে করেন সব অপেক্ষার অবসান হবে এবারই। বন্ধ হবে মানুষের টিপ্পনি।

ঘরের মাঠে গত ইউরোতেই ফাইনালে উঠেছিলো ইংল্যান্ড। তারা সেবার হেরে যায় ইতালির কাছে। কেইন ফেরেন খালি হাতে।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যাম হটস্পারে খেলার সময় দারুণ ঝলক দেখালেও ট্রফি শূন্য ছিলেন কেইন। জার্মানির সেরা ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়ার পর অনেকে ভেবেছিলেন এবার ট্রফি কেইন পাবেনই। কারণ জার্মানিতে বায়ার্নকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতন দল তেমন কেউ নেই। সবাইকে অবাক করে বুন্দেসলিগার সর্বশেষ আসরে ট্রফি জিতে নেয় বায়ার্ন লেবারকুসেন। কেইন এবারও রয়ে যান ট্রফি শূন্য!

এবার ইউরোর ফাইনালে আরেক পরীক্ষা তার। খেলা হবে জার্মানির মাঠ বার্লিনে। দারুণ ছন্দে থাকা স্পেনকে হারিয়ে ইংল্যান্ডের শিরোপা জেতার চ্যালেঞ্জ এবারও আরও বেশি। তবে এবার নাকি বিশ্বাসও বেশি কেইনের। ফাইনালের আগে জানালেন ক্লাব সতীর্থদের কাছ থেকেও পাচ্ছেন শুভকামনা, এবার তিনি খরা কাটাবেনই,  '(বায়ার্ন) মিউনিখের আমার সতীর্থরা বার্তা দিয়েছে, ক্লাবের স্টাফের লোকজনও শুভকামনা জানিয়েছে। আমি এখনো কোন দলীয় ট্রফি যে জিতিনি, এটা গোপন বিষয় না। আশা করছি অপেক্ষার অবসান এবারই হবে।'

এদিকে ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট পুরো আসরে দলের সমন্বয় নিয়ে অনেক সমালোচিত হয়েছেন। কিন্তু ঠিকই এগিয়ে যাওয়ার পথ করে নিয়েছেন তিনি। এবার বড় স্বপ্নে বুঁদ এই কোচ,  'রূপকথায় বিশ্বাস করি না। স্বপ্ন দেখায় বিশ্বাস করি। আমরা বড় স্বপ্ন দেখছি এবার কাজে সেটা প্রমাণ করতে হবে।

ফাইনালে উঠলেও ইংল্যান্ড কোন ম্যাচেই দাপট দেখাতে পারেনি। বাদ পড়তে পড়তে শেষ মুহূর্তে গোল আদায় করে ঘুরে দাঁড়িয়ে এগিয়েছে তারা। এটাকে কেউ ভাগ্য বলতে পারেন, তবে সাউথগেট মনে করেন ফাইনাল মঞ্চে পারফম্যান্স দিয়েই যোগ্যতার প্রমাণ দেবে তার দল, 'ভাগ্যের কথা যদি বলেন আমরা এগিয়েছি শেষ মুহূর্তের গোল, পেনাল্টি, টাইব্রেকারে। তবে ফাইনালেও আমাদের কিছু করা লাগবে। আমরা এই পর্যায়ে যে পারফর্ম করতে পারি তা দেখা হতে। আমাদের পারফরম্যান্সই কথা বলবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Atrocities during July uprising: Of pellets and lost eyesight

On the afternoon of July 18 last year, Zakia Sultana Neela, an assistant professor at the National Institute of Ophthalmology and Hospital (NIOH), stepped out of a routine surgery into a scene of unfolding horror.

6h ago