আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

সেমিফাইনালের আশা বাদ দিয়ে এখন ভিন্ন লক্ষ্য!

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ নেমে গেছে টেবিলের দশে, অর্থাৎ সবার নিচে। সাকিবদের স্বপ্নের সীমানাও এখন তাই বদলে গেছে।

মুম্বাই থেকে

সেমিফাইনালের আশা বাদ দিয়ে এখন ভিন্ন লক্ষ্য!

এই ম্যাচের আগেও সেমিফাইনালের বেশ বড় আশা দেখছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান খুব খারাপ নয় বলেও মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ নেমে গেছে টেবিলের দশে, অর্থাৎ সবার নিচে। সাকিবদের স্বপ্নের সীমানাও এখন তাই বদলে গেছে।

মঙ্গলবার রাতে মুম্বাইতে বাংলাদেশকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাট করে ৩৮২ রান করার পর তারা ম্যাচ জিতেছে ১৪৯ রানে।

এমন হারের পর নেট রান রেটেও বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ দল। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে হাজির হয়ে সাকিব পরের ম্যাচগুলোর দিকে তাকিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা জানান। তবে সেমির স্বপ্ন থেকে সরে পাঁচ-ছয়ে থেকে আসর শেষ করাই তাদের নতুন লক্ষ্য, 'ভারত, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা— এই তিন দলের যে কেউ মনে হচ্ছে শিরোপা জিতবে। কিন্তু যেকোনো কিছুই হতে পারে। অনেক দূর যাওয়া বাকি। অনেক কিছু শেখার ও খেলার আছে। যদি সেমিফাইনাল না হয়, পাঁচ বা ছয়ে থেকে শেষ করতে চাই। আমরা সেটা করতে পারি। আমি আশাবাদী যে, শক্তভাবে ফিরতে পারব।'

দলের বিশাল হারের মাঝে এদিন ব্যতিক্রম ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অনেক আগেই ম্যাচের বাস্তবতায় হার নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি করেন ১১১ বলে ১১১ রান। সংবাদ সম্মেলনে আসা অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের দিকেও যায় একই প্রশ্ন, সেমিফাইনালে ওঠা সম্ভব? মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠেও অত দূর যাওয়ার স্বপ্নটা আপাতত আর নেই, 'আসলে ওইসব ফলাফল নিয়ে চিন্তা করে লাভ নেই যে সেমিফাইনাল খেলতে পারব কি পারব না। আমরা যদি পরের ম্যাচে জিততে পারি, তাহলে ভালো মোমেন্টাম নিয়ে এগুতে পারব। আমাদের ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোন জায়গায় ঘাটতি হচ্ছে, এই জিনিসগুলো চিহ্নিত করা দরকার।'

বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে এক জয় পাওয়া বাংলাদেশের সামনে বাকি চার ম্যাচ। প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়া। সবগুলো দলের বিপক্ষেই সাকিবদের সামনে আছে কঠিন চ্যালেঞ্জ।

Comments

The Daily Star  | English
Ducsu election 2025

The final act: Learning to accept election defeat

Ducsu delivers a participatory election. Can unsuccessful candidates accept loss gracefully?

2h ago