গোপালগঞ্জে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৫ ডিগ্রি
বুধবার দেশের সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জে।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবিরের সই করা বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ বুধবার ভোর ৬টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা সারাদিনে দেশের সর্বনিম্ন।
গোপালগঞ্জ জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সোমবার গোপালগঞ্জে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে আশঙ্কাজনকভাবে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি।
আবু সুফিয়ান বলেন, 'শীত মৌসুমে এ ধরনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলেও বর্তমানে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এটিকে আমরা মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করছি। আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আগামী দুই দিন এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে, যদিও তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।'
তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষজন। ভ্যানচালক মিলু মুন্সি (৫৮) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শীতের কারণে কামাই অর্ধেকও নাই, বেঁচে থাকাই কষ্ট। একে তো শীতে লোকজন বাইরে বের হয় না আর ভ্যানেও উঠতে চায় না বাতাস লাগে বলে। সন্ধার পর শহরে মানুষ আরও কমে যায়, তাই আগে আগে বাড়ি চলে যাই।'
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. আরিফউজজামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শীতজনিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল বিতরণ কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং তা চলমান রয়েছে। পাশাপাশি সার্বিক পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।'
'কোথাও শীতজনিত কারণে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা সহায়তার প্রয়োজন হলে তাৎক্ষণিকভাবে সহযোগিতা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। জেলা প্রশাসন সবমিলিয়ে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে,' যোগ করেন তিনি।


Comments