টাকার পাহাড়ে চাপা পড়া সেই অভিযোগ থেকে আপাত ‘মুক্তি’ মিললেও তিনি নিজ দেশের জন্য নিয়ে আসলেন এক অবমাননাকর ‘উপহার’।
খাসোগি হত্যার পর এই প্রথম হোয়াইট হাউসে গেলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। কেন সৌদি আরবের এই ভবিষ্যৎ বাদশাহকে মহাক্ষমতাধর রাষ্ট্রপতি এমন উষ্ণ অভ্যর্থনা দিলেন? ডোনাল্ড ট্রাম্প কী পেলেন এই সফর থেকে ও মুহাম্মদ...
দীর্ঘ সাত বছর পর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন। দেখা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। অংশ নিয়েছেন হোয়াইট হাউসে আয়োজিত ডিনারে।
হোয়াইট হাউসের ওই ডিনারে ট্রাম্প, মেলানিয়া ও সালমানের সঙ্গে যোগ দিতে দেখা গেছে জনপ্রিয় পর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও ধনকুবের ইলন মাস্ককে।
ওভাল অফিসে সালমানকে এক সাংবাদিক খাসোগির হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বিব্রত হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় রাগে ফেটে পড়েন ট্রাম্প। তিনি বলেন, খাসোগি ‘অত্যন্ত বিতর্কিত’ একজন মানুষ ছিলেন।
শনিবার টিভিতে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে খামেনির সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, রিয়াদ ও ইসলামাবাদের ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’ একটি গঠনমূলক উদ্যোগ। এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা...
বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা’ চুক্তিতে সই করেন।
২০২২ সালের মার্চের পর সৌদিতে এত কম সময়ে এত বেশি মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নজির এটাই প্রথম।
২০২৩ সালে চীনের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুন:স্থাপন হয়। সে সময় চীনের এই অর্জনকে বিশ্লেষকরা ‘বিস্ময়কর’ সাফল্য বলে অভিহিত করেছিলেন।
বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা’ চুক্তিতে সই করেন।
২০২২ সালের মার্চের পর সৌদিতে এত কম সময়ে এত বেশি মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নজির এটাই প্রথম।
২০২৩ সালে চীনের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুন:স্থাপন হয়। সে সময় চীনের এই অর্জনকে বিশ্লেষকরা ‘বিস্ময়কর’ সাফল্য বলে অভিহিত করেছিলেন।
সিরিয়ার ওপর থেকে থেকে সব মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়াটা ছিল সফরের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ঘোষণা।
দ্বিতীয় মেয়াদে এটাই ট্রাম্পের প্রথম বড় আকারের বিদেশ সফর। হোয়াইট হাউস বলছে, এটা মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের ‘ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন’ এবং প্রেসিডেন্ট নিজে এই সফরের জন্য মুখিয়ে আছেন।
২০১৭ সালে ট্রাম্প রিয়াদের কাছে ১১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে ২০১৮ সাল নাগাদ মাত্র সাড়ে ১৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এমন সময় সৌদি আরবে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে চলেছে যখন রাশিয়া ও ইউক্রেন, উভয়ই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে। অপরদিকে, ইউক্রেনকে সামরিক ও গোয়েন্দা তথ্য সহায়তা বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আজ ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার বৈঠকে আয়োজক-মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের পাশাপাশি শুক্রবার গাজা নিয়ে আরব নেতাদের সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে রিয়াদ।
রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব বেশ কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মহলে তাদের ভাবমূর্তি বদলানোর চেষ্টা করছে।
আগামী ১ ডিসেম্বর থকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে রিয়াদের প্রথম মেট্রো ব্যবস্থা।