পরমাণু প্রকল্প চালুর শর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কে রাজি সৌদি আরব

জেদ্দায় বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি: রয়টার্স
জেদ্দায় বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি: রয়টার্স

সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বৈঠক করেছেন। বৈঠকে সৌদি আরবকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের অনুরোধ করেছেন শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক।

সৌদি আরব নিজেদের বেসামরিক পারমাণবিক প্রকল্প চালু, এর বাস্তবায়নে মার্কিন সহযোগিতা ও এ সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়েছে।

আজ বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ ভোরে বন্দরনগরী জেদ্দায় এই বৈঠকে ২ নেতা দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে 'খোলামেলা আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে আছে ইসরায়েল-সৌদি আরব সম্পর্ক।

গতকাল গভীর রাতে ব্লিঙ্কেন সৌদি আরব এসে পৌঁছান। বেশ কয়েকদিন ধরে ইরাননীতি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, তেলের দাম ও মানবাধিকারসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে মতভেদের কারণে ২ দেশের কূটনীতিক সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে।

বিশ্লেষকদের আশা, ব্লিঙ্কেনের এই বহুল প্রতীক্ষিত সফরে এ বিষয়গুলোর সমাধান হবে।

ওয়াশিংটন মনে করে, কয়েক দফা আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে এবং এ অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান রুশ ও চীনা আধিপত্য কমবে।

এমবিএস নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজের সঙ্গে ব্লিঙ্কেন ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের বৈঠক করেন বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।

২ নেতার আলোচনায় ইসরায়েল, ইয়েমেন ও সুদানের সংঘাত এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নাম না প্রকাশের শর্তে তিনি আরও বলেন, '২ দেশের স্বার্থ জড়িত আছে এ রকম কিছু সম্ভাব্য যৌথ উদ্যোগ ও মতভেদের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।'

আলোচনার বড় অংশ জুড়ে ছিল সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি। তবে কর্মকর্তারা জানান, খুব সহজে বা তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে অগ্রগতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, 'তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখার বিষয়ে ২ পক্ষ একমত হয়েছে।'

২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপন করে মধ্যপ্রাচ্যের ২ প্রভাবশালী দেশ বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এ বিষয়ে আপত্তি না জানালেও একই পথে হাঁটেনি রিয়াদ। সে সময় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়টির মধ্যস্থতা করেন।

রিয়াদ জানায়, ফিলিস্তিনি জাতির লক্ষ্য আগে পূরণ হতে হবে। গত এপ্রিলে ইসরায়েলের শত্রু হিসেবে বিবেচিত ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে সৌদি আরব।

আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানেন এমন সূত্র রয়টার্সকে জানায়, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিপরীতে নিজেদের বেসামরিক পারমাণবিক প্রকল্প চালু, এর বাস্তবায়নে মার্কিন সহযোগিতা ও এ সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তা পাওয়ার দাবি জানিয়েছে সৌদি আরব।

সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস গত মার্চে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে সৌদি আরব বা যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

BNP sticks to demand for polls by December

In a meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night, the BNP restated its demands that the next general election be held by December and the government immediately announce a roadmap to that end.

3h ago