কর্মীদের অফিসে আনতে চায় জুমও

ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান হোসেতে অবস্থিত জুমের প্রধান কার্যালয়। ছবি: এএফপি
ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান হোসেতে অবস্থিত জুমের প্রধান কার্যালয়। ছবি: এএফপি

করোনাভাইরাস মহামারির সময় বাসায় বসে কাজ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকে। আর এই হোম অফিস সংস্কৃতিকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ায় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে 'জুম'। সেই জুমই এখন কর্মীদের অফিসে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।

জুমের যেসব কর্মী প্রতিষ্ঠানটির কোনো না কোনো অফিসের কাছাকাছি বাস করেন, তাদেরকে এখন সপ্তাহে অন্তত ২ দিন অফিসে গিয়ে কাজ করতে হবে। এর ফলে যেসব কর্মী দীর্ঘদিন ধরে বাসা থেকে কাজ করায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে, তাদের এই অভ্যাস পাল্টাতে হবে।

জুমের একজন মুখপাত্র বলেন, 'আমরা একটি কাঠামোগত হাইব্রিড পদ্ধতি সমর্থ করি। মানে, যেসব কর্মীরা আমাদের কোনো অফিসের কাছাকাছি বাস করেন, তাদেরকে সপ্তাহে ২ দিন অফিসে এসে কাজ করতে হবে যাতে দলের সবার সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ ও মুখোমুখি কথা বলার সুযোগ হয়। এটাই জুমের জন্য সবচেয়ে কার্যকর। আমরা আমাদের কর্মী এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দলগুলোকে সংযুক্ত রাখতে এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম করার জন্য জুম প্ল্যাটফর্মের সম্পূর্ণ সুবিধা অব্যাহত রাখব।'

অফিসের 'কাছাকাছি' বলতে জুম ঠিক কী বুঝিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। কোম্পানির নতুন হাইব্রিড নীতিতে বলা হয়েছে, যদি কর্মীরা কোনো জুম অফিসের ৫০ মাইলের (৮০ কিলোমিটার) মধ্যে বসবাস করেন তবে তাদের অবশ্যই অফিসে এসে কাজ করতে হবে, যদিও এই দূরত্বকে সাধারণত অনেকেই 'কাছাকাছি' হিসেবে বিবেচনা করেন না।

মজার বিষয় হল, ২০২২ সালে জুমের ১ অভ্যন্তরীণ জরিপে দেখা গেছে ৬৯ শতাংশ কর্মী বাসা থেকে কাজ করবে, নাকি অফিসে এসে কাজ করবে, নাকি এই ২ এর মধ্যে সমন্বয় করবে- তা নিজেরা নির্ধারণ করার পক্ষে। আবার ৪৫ শতাংশ কর্মী বলছে তাদেরকে যদি পছন্দমতো অবস্থান থেকে কাজের সুযোগ না দেওয়া হয়, তাহলে তারা নতুন চাকরি খোঁজার কথা বিবেচনা করতে পারে।

নতুন নীতির কারণে জুমের অনেক কর্মী হয়তো চাকরি খুঁজতে শুরু করবে। তবে প্রতিষ্ঠানটি যে পথে আগাচ্ছে, তাতে নতুন চাকরি খোঁজাই অনেক কর্মীর জন্য ভালো উপায় হতে পারে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে জুম ১ হাজার ৩০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে। করোনা মহামারির সময় জুমের যে আয় ছিল, তা এখন অনেকটাই কমে গেছে। জুমের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী এরিক ইউয়ানও আপাতত নিজের বেতন ৯৮ শতাংশ কমিয়েছেন।

করোনা মহামারির সময় বিশ্বজুড়ে লাখো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কর্মীদের জন্য বাসা থেকে কাজ করার সুযোগ চালু করে। অনেকেই তখন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের জন্য জুম ব্যবহার শুরু করে। মহামারি শেষ হওয়ার পর সবাই আবারও অফিসে ফিরতে শুরু করায় জুমের ব্যবহার অনেকটা কমে গেছে, কোম্পানিটির আয়ে যার বিশাল প্রভাব পড়েছে।

সূত্র: ম্যাশেবল, বিজনেস ইনসাইডার

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu polls returns to campus in style with exceptional voter turnout

It was 78% this time, a leap from 50-60% in the 1970s and ‘80s

20m ago