যেসব কারণে টানা ৩ প্রান্তিক আয় কমেছে অ্যাপলের

ইলিনয়ের একটি আইস্টোরে অ্যাপলের বিভিন্ন পণ্যের সমাহার। ছবি: এএফপি
ইলিনয়ের একটি আইস্টোরে অ্যাপলের বিভিন্ন পণ্যের সমাহার। ছবি: এএফপি

সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল জানিয়েছে, সর্বশেষ প্রান্তিকে তাদের আয় ১ শতাংশ কমে ৮১ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম ধনাঢ্য প্রতিষ্ঠানটি টানা ৩ প্রান্তিকে আয় কমার তিক্ত রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।

সর্বশেষ প্রান্তিকে আইফোন বিক্রি থেকে অ্যাপলের আয় হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশ কম। ম্যাক থেকে আয় হয়েছে ৬ দশমিক ৮ বিলিয়র ডলার, যা ৭ শতাংশ কম এবং আইপ্যাড থেকে আয় কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ (গত বছরের শেষ প্রান্তিকে নতুন আইপ্যাড এয়ার উন্মোচন করা হয়েছিল)।

আয় সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে প্রধান নির্বাহী টিম কুক উদীয়মান বাজারে অ্যাপলের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান। 

কুক বলেন, 'আমরা এখনো অসম অর্থনৈতিক পরিবেশের মুখোমুখি হচ্ছি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে উর্ধ্বে ৪ শতাংশ পর্যন্ত পার্থক্য থাকছে।'

সাধারণত জুন প্রান্তিকে অ্যাপলের আয় কিছুটা ধীরগতিরই থাকে। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে নতুন আইফোন উন্মোচন করে কোম্পানিটি। তাই গ্রাহকরা জুন প্রান্তিকে নতুন ফোন না কিনে সেপ্টেম্বরে নতুন আইফোনের জন্য কিছুটা অপেক্ষা করে।

যদিও এর মধ্যেও কিছু ভালো খবর আছে। অ্যাপল জানিয়েছে, তাদের বিভিন্ন সেবা থেকে আয় ২১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। আইফোন বা অন্যান্য ডিভাইস নয়, বরং অ্যাপল মিউজিক, অ্যাপল টিভি প্লাসের মতো সেবাগুলো অ্যাপলের আয়ের ক্ষেত্রে ক্রমান্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে

'আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে জুন প্রান্তিকে আনুষঙ্গিক সেবা থেকে আমাদের রাজস্ব আয় ছিল সর্বোচ্চ, যার মূল চালিকাশক্তি ছিল ১০০ কোটিরও বেশি পেইড সাবসক্রিপশন। সঙ্গে আইফোনের সার্বিক বিক্রি ভালো হওয়ায় নতুন ও উদীয়মান বাজারগুলোতে আমরা ক্রমাগত দারুণ সাফল্য পাচ্ছি', যোগ করেন কুক। 

কুক আরও বলেন, 'আমরা আগামী দিনগুলোতে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাব, নতুন সম্ভাবনাগুলোর জন্য কাজ করতে থাকব এবং গ্রাহকের চাহিদাকে আমাদের সব কাজের কেন্দ্রে রাখব।'

করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের বিক্রি বাড়লেও এই ধারা এখন কমে আসছে। অ্যাপলের সর্বশেষ আয়ের হিসাবেও এর প্রতিফলন দেখা গেছে। গত মাসে গার্টনারের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, গত প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে কম্পিউটার শিপমেন্টের পরিমাণ কমেছে ১৬.৬ শতাংশ আর বাজার বিশ্লেষণী সংস্থা আইডিসির তথ্য অনুসারে গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় স্মার্টফোনের শিপমেন্ট কমেছে ৭.৮ শতাংশ। 

সূত্র: সিএনএন

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

Comments

The Daily Star  | English
chocolate trend in Bangladesh

Mimi, nostalgia and new bites

Local, global brands offer treats for all budgets, with young people driving the demand

12h ago