চার্জারের ক্যাবল নষ্ট হলে করণীয়

ছবি: রয়টার্স

প্রতিদিনের সঙ্গী মোবাইল, ট্যাব কিংবা ল্যাপটপের মতো সব ডিজিটাল ডিভাইসের প্রাণভোমরা বলা যায় চার্জারকে। চার্জার ঠিকঠাক কাজ না করলে বা ভুল সময়ে বিগড়ে গেলে পোহাতে হয় ভোগান্তি।

বেশিরভাগ সময় চার্জারের তার ছিঁড়ে যায় বা কিছু অংশ আলাদা হয়ে যায়। আজকের এ লেখায় কীভাবে সহজে এরকম নষ্ট চার্জার ক্যাবল জোড়া লাগানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

ইলেকট্রিকাল টেপ

নষ্ট চার্জার ক্যাবল জোড়া লাগাতে সবচেয়ে সহজ আর সুলভ পদ্ধতি হচ্ছে ইলেকট্রিক্যাল টেপ। বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন কাজে বাসাবাড়িতে থাকে বলে হয়তো আলাদা করে এটি কেনার প্রয়োজনও পড়বে না। ছেঁড়া অংশ কয়েকবার ভালোভাবে টেপ দিয়ে মুড়িয়ে নিলে বেশ অনেকদিন কোনো ঝামেলা ছাড়াই কাজ চালানো যাবে।

তাপ-সংকোচন

তাপ সংকোচন পদ্ধতি কাজে লাগিয়েও চার্জার ক্যাবল ঠিক করা যায়। এ সমস্যার জন্য এটি একটি স্থায়ী সমাধান। এজন্য দরকার পড়বে একটি হিট গান এবং হিট শ্রিংক টিউবের। প্রথমেই চার্জারের তারের মাপ অনুযায়ী টিউব জোগাড় করতে হবে এবং তার ভেতর চার্জার ক্যাবল প্রবেশ করিয়ে সঠিক দৈর্ঘ্যে কেটে নিতে হবে। এরপর হিট গান দিয়ে তাপ প্রয়োগ করলে টিউবটি সংকুচিত হয়ে যাবে এবং ছিঁড়ে যাওয়া অংশটুকু জোড়া লেগে যাবে। তবে এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, তাপ প্রয়োগের প্রক্রিয়ার সময় যাতে চার্জিং পয়েন্ট সুরক্ষিত থাকে।

আঠা

সুগ্রু হচ্ছে এমন একপ্রকার আঠা, যা ছাঁচে ফেলে বিভিন্ন আকৃতি দেওয়া যায়। চার্জার ক্যাবল ঠিক করতে এই আঠা কাজে লাগানো যায়। এটিও বেশ স্থায়ী সমাধান। ছিঁড়ে যাওয়া অংশ এই আঠা দিয়ে ২৪ ঘণ্টা মুড়িয়ে রাখলে সুফল পাওয়া যাবে। এই সমাধান অধিক কার্যকর করতে পুরোটা তার জুড়ে এই আঠা প্রয়োগ করা যায়।

ঝালাই

চার্জার ক্যাবলের আবরণ সহজে আলাদা হয়ে যাবার কারণে আমরা হয়তো অনেকসময় খেয়াল করি না যে, ভেতরের তারগুলোও আলাদা হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে নতুন চার্জার কেনা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই ভাবলেও একটা শেষ চেষ্টা করা যায় ঝালাইয়ের মাধ্যমে। হিট গান, ঝালাইয়ের অতিরিক্ত তার ব্যবহারের মাধ্যমে এই ভাঙা তারগুলো ঠিক করা যাবে। তবে ঝালাইয়ের কাজ আগে না করে থাকলে এতে অভিজ্ঞ কারো সাহায্য নেওয়া উচিত।

তবে সবসময় চার্জারের সমস্যা নাও হতে পারে। ডিভাইসের চার্জিং পয়েন্টে ময়লা জমে যাওয়া বা চার্জিং পোর্টে ঠিকমতো সংযুক্ত না হবার মতো সমস্যার কারণেও ঠিকঠাক চার্জ দিতে সমস্যা হতে পারে। সেক্ষেত্রে চার্জারের সমস্যা কিনা, তা নিশ্চিত হবার পরই এসব পদ্ধতি প্রয়োগ করা উচিত।

তথ্যসূত্র:

১. বিজনেস ইনসাইডার

২. ম্যাকসি অব

 

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu polls returns to campus in style with exceptional voter turnout

It was 78% this time, a leap from 50-60% in the 1970s and ‘80s

36m ago