দেশি হাঁস ও ভেড়ার জিন রহস্য উদ্ঘাটনে গবেষণা শুরু

এনআইবিতে সেন্টার ফর নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস ল্যাবে এই ৩ প্রজাতির দেশীয় প্রাণীর জিন রহস্য উদ্ঘাটন প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ছবি: সংগৃহীত

দেশি হাঁস, দেশি ভেড়া ও মুন্সিগঞ্জ গরুর জিন রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করেছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) একদল বিজ্ঞানী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এনআইবিতে সেন্টার ফর নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস ল্যাবে এই ৩ প্রজাতির দেশীয় প্রাণীর জিন রহস্য উদ্ঘাটন প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এর উদ্বোধন করেন।

২০২১ সালের জুলাই মাসে ৪৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এনআইবিতে সেন্টার ফর নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস প্রকল্প নেওয়া হয়। ২০২৩ সালের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

প্রকল্পের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পলাশ কুমার সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দেশি হাঁস, দেশি ভেড়া ও মুন্সিগঞ্জ ক্যাটেলের (গরু) জিন রহস্যের সব ডাটা আগামী ২ দিনের মধ্যে পেয়ে যাব। তবে সে সব ডাটা বিশ্লেষণ করতে বিজ্ঞানীদের প্রায় ১ মাস সময় লাগবে।'

এনআইবির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ বলেন, 'করোনা মহামারির সময়ে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন ও এ সংক্রান্ত গবেষণায় এনআইবি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। সেন্টার ফর নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস ল্যাবে সেই ভূমিকা আরও বেগবান হবে।'

অনুষ্ঠানে 'সেন্টার ফর নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং অ্যান্ড অ্যানালাইটিকস' প্রকল্প পরিচালক কেশব চন্দ্র দাস প্রকল্পের পটভূমি, কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, 'এখানে থেকে ছোট-বড় সব ধরনের জিনোম সিকোয়েন্স সেবাসহ অত্যাধুনিক রোগ নির্ণয় সেবা পাওয়া যাবে। এতে করে আমাদের দেশীয় গবেষণার মান যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি এসব ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে সক্ষম হবে।'

মানুষ, উদ্ভিদ-প্রাণী তথা অণুজীবের সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স, সম্পূর্ণ এক্সোম সিকোডেন্স কিংবা টার্গেটেড প্যানেলনিতিক সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন প্রজাতি উদ্ভাবন, প্রজাতিতে প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যের সংযোজন ও উন্নয়ন, মানুষের প্রচলিত ও বিরল রোগ নির্ণয়, নতুন ওষুধ, ভ্যাক্সিন ও থেরাপিউটিক উদ্ভাবন ও উন্নয়ন প্রভৃতি কাজে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং বর্তমান সময়ের অন্যতম সর্বাধুনিক প্রযুক্তি হিসেবে আধুনিক ও উন্নত গবেষণাগারগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Shibir-backed candidates Shadik, Farhad leading in top two Ducsu posts

Counting going on till 6:00am; turnout 78% in polls marked by festivities

4h ago