ফেসবুক রিলে ভিউনির্ভর পেমেন্ট করবে মেটা

ফেসবুক রিলে ভিউনির্ভর পেমেন্ট করবে মেটা
ছবি: মেটা

ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের কনটেন্ট নির্মাতাদের অর্থ আয়ের সুযোগ করে দিতে রিল থেকে ভিউনির্ভর পেমেন্ট বা অর্থ প্রদানের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে মেটা। অর্থাৎ, কতজন মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন, তার ওপর ভিত্তি করে কনটেন্ট নির্মাতাদের অর্থ প্রদান করবে মেটা।

মূলত, কনটেন্টের আবেদন বাড়ানোর জন্য এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্ম টিকটক থেকে ব্যবহারকারীদের আগ্রহ ফেসবুকের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য মেটা এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন অনুসারে, সংস্থাটি গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা রিল নামে সংক্ষিপ্ত আকারের ভিডিওগুলোর পেমেন্ট বা অর্থ প্রদানের জন্য একটি নতুন মডেল পরীক্ষা করছে। শুধু দর্শকদের বিজ্ঞাপন দেখানোর ওপর ভিত্তি করে যে উপার্জন, তা থেকে তারা দূরে সরে আসছে। তাদের ধারণা, এটি নির্মাতাদের আরও বিনোদনমূলক ভিডিও পোস্ট করতে উৎসাহিত করবে। এ ছাড়া, এতে করে ব্যবহারকারী এবং বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের অ্যাপগুলোতে আরও বেশি সময় এবং অর্থ ব্যয় করতে আগ্রহী হবে।

বাইটড্যান্স লিমিটেডের মালিকানাধীন টিকটকের সঙ্গে স্ক্রিন টাইম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছে মেটা। টিকটকের ফিডে স্ক্রল করতে থাকলে দেখা যায়, সেখানে ছোট ছোট ভিডিওগুলোর কোনো শেষ নেই। একটির পর একটি আসতেই থাকে। যার কারণে ব্যবহারকারীরা অন্য যেকোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপের তুলনায় টিকটকে স্ক্রল করার পেছনে বেশি সময় ব্যয় করে।

যদিও, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম দ্রুতই এই পদ্ধতিটি নকল করে নিয়ে আসে রিল রূপে। কিন্তু ব্যবহারকারীরা রিল দেখার পেছনে বেশি সময় ব্যয় করলেও এই ভিডিওগুলো সেভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারছে না।

যা মেটার রাজস্বের ওপর এক ধরনের লাগাম টেনে ধরেছে। এতে করে মেটাও কম অর্থ উপার্জন করছে এবং কনটেন্ট নির্মাতারাও কম অর্থ পাচ্ছেন। 

মেটা গতবছর অক্টোবরে একটি উপার্জনের হিসেবে দেওয়ার সময় জানায়, ২০২২-এর শুধু জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের দিকে এই সমস্যার কারণে কোম্পানিটির ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়। তবে মেটা মনে করে যে, তারা এই বছরের শেষের দিকে বা পরের বছরের শুরুতে এই মনিটাইজেশনের শূন্যস্থানটি পূরণ করতে পারবে। 

সংস্থাটি তাদের সবশেষ আয়ের হিসাব দেওয়ার সময় জানায়, এই সমস্যাটি সমাধানের জন্য তাদের আরও বেশি ব্যবহারকারী প্রয়োজন, যারা কনটেন্ট দেখবে এবং আরও বিজ্ঞাপনদাতা প্রয়োজন, যারা সেখানে বিজ্ঞাপনের পেছনে অর্থ ব্যয় করবে। 

তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ
গ্রন্থনা: আহমেদ বিন কাদের অনি

Comments

The Daily Star  | English

Tourism picks up as hotels, resorts report 60% occupancy

The peak tourism season in the country runs from November to April

12h ago