ওয়ার্ক ফ্রম হোমের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হচ্ছে গুগল

ছবি: রয়টার্স

করোনা মহামারি কেটে যাওয়ার পরও অফিসে এসে কাজ না করার বিরুদ্ধে এবার আরও কঠোর হচ্ছে গুগল। শীর্ষ এই প্রযুক্তি কোম্পানিটি নিয়মিত অফিসে অনুপস্থিত থাকা কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছে, তাদের পারফরম্যান্স রিভিউয়ের সময় এই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

গুগলের চিফ পিপল অফিসার ফিওনা সিকোনি গত ১৪ জুন সব কর্মীদের কাছে লেখা এক চিঠিতে জানিয়েছে, এখন থেকে শুধু ব্যতিক্রম হিসেবে বাসা থেকে কাজ করার অনুমতির আবেদনগুলো বিবেচনা করা হবে। গুগলের বর্তমান হাইব্রিড কর্মনীতি অনুসারে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে আর বাকী দিনগুলোতে কর্মীরা চাইলে বাসা থেকে কাজ করতে পারবেন। ফিওনা তার চিঠিতে লিখেছেন, অধিকাংশ কর্মীই এই নীতি মেনে চলছেন।

গত এপ্রিল মাস থেকে সপ্তাহে ৩ দিন অফিসে আসার নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়। ২০২১ সালে কোম্পানিটি জানিয়েছিল, তারা ২০ শতাংশ কর্মীকে পূর্ণকালীন বাসায় বসে কাজ করা অনুমতি দেবে।

সিকোনি তার চিঠিতে লিখেন, 'আমরা গুগলারদের (গুগলের কর্মীদেরকে গুগলার বলে) কাছ থেকে শুনেছি, যারা সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ দিন অফিসে আসেন, তারা অন্য গুগলারদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে পারেন এবং তাদের সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে। অবশ্যই সবাই হয়তো এটি পছন্দ করবেন না। কিন্তু একসঙ্গে বসে কাজ করলে ইতিবাচক পার্থক্য তৈরি হয়।'

সিকোনি আরও উল্লেখ করেন, গত মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া ডেভলপার সম্মেলনে যেসব নতুন পণ্য ও সেবা উন্মোচন করা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই সহকর্মীরা একসঙ্গে অফিসে বসে তৈরি করেছেন।

'অবশ্যই, এমন পরিস্থিতি থাকবে যেখানে আপনি অফিসে আসতে পারবেন না, যেমন- কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে এই সপ্তাহের বাতাসের মান নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।  আমরা সবসময়ই চাই আপনি নিজের যত্ন নিন এবং আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন,' সিকোনি তার চিঠিতে লিখেছেন।

কানাডায় শতাধিক দাবানলের কারণে সম্প্রতি নিউ ইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঞ্চলের বাতাসের মান খুব অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে নেমে যায়। ফলে অনেকেই বাসা থেকে বের হতে পারেননি।

কর্মীদের অফিসে ফেরাতে গুগলের মতো অন্যান্য বড় বড় কোম্পানিগুলোও তৎপর। অ্যামাজন ও ওয়াল্ট ডিজনিও কর্মীদেরকে অফিসে এসে কাজ করার জন চাপ দিচ্ছে। সহকর্মীদের সঙ্গে একসঙ্গে বসে কাজের সুবিধাগুলো কর্মীদের বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে এসব কোম্পানিগুলো। কোনো কোনো কোম্পানি ইতিমধ্যেই বেতন বাড়ানোর ক্ষেত্রে অফিসে উপস্থিতির হার বিবেচনা করতে শুরু করেছে।

তবে অনেক কর্মী মহামারির সময় বাসায় কাজ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় তারা অফিসে এসে কাজ করতে চাইছে না। সম্প্রতি অ্যামাজনের কয়েকশ কর্মী অফিসে ফেরার নীতির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির সিয়াটল সদর দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ করেছে।

এ বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে এবং ১২ হাজারেরও বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের পর গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট জানায়, তাদের মোট ১ লাখ ৯০ হাজার ৭১১ জন কর্মী আছে।

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

Comments

The Daily Star  | English

BNP sticks to demand for polls by December

In a meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night, the BNP restated its demands that the next general election be held by December and the government immediately announce a roadmap to that end.

29m ago