জবিতে শিক্ষার্থীদের ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’ হিসেবে পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে বাধা

ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরের গণহত্যার 'প্রতীকী প্রতিবাদ' হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে গিয়ে প্রক্টরের বাধার মুখে পড়েছে একদল শিক্ষার্থী।

এ সময় শিক্ষার্থীদের আরেকটি দলও তাদের বাধা দেয়। গতরাতে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। 

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা রাতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

মিছিলটি ক্যাম্পাস ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা স্বাধীনতাবিরোধীদের বিপক্ষে স্লোগান দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী সড়কে পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের থামাতে গেলে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।

একপর্যায়ে প্রক্টরিয়াল টিম চলে গেলে শিক্ষার্থীরা আবার তাদের কার্যক্রম শুরু করেন এবং পতাকা আঁকার কাজ শেষ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে অন্য কোনো দেশের পতাকা আঁকার জন্য পূর্বানুমতি প্রয়োজন। অনুমতি ছাড়াই প্রধান ফটকে পাকিস্তানের পতাকা আঁকার চেষ্টা করা হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীরা পতাকা আঁকার কাজ চালিয়ে যান এবং আঁকা শেষ করেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিমেল বলেন, বিজয়ের মাসে 'প্রতীকী প্রতিবাদ' হিসেবে কিছু শিক্ষার্থী পাকিস্তানের পতাকা আঁকার চেষ্টা করেছিলেন। প্রথমে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাদের বাধা দেন।

পরে আস-সুন্নাহ হলের একদল শিক্ষার্থী পতাকা আঁকার সময় তাদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনার সময় সাংবাদিকরাও আক্রমণের শিকার হন বলে তিনি দাবি করেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা উল্লেখ করে হিমেল বলেন, পাকিস্তানের কিছু সমর্থক সেই সময় গণহত্যাকে সমর্থন করেছিল এবং 'তাদের প্রেতাত্মারা এখনো বাংলাদেশে লুকিয়ে আছে।'

হিমেল বলেন, পাকিস্তানকে অপমান করা হলে সেই 'প্রেতাত্মাদের' কষ্ট লাগে। এ কারণেই তারা শিক্ষার্থীদের পাকিস্তানের পতাকা আঁকা থেকে বিরত রেখে প্রতীকী প্রতিবাদে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।

Comments