এইচএসসি

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা আড়াই ঘণ্টা অবরুদ্ধ, পাস করিয়ে দেওয়ার দাবি

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের হাতে লিখিত বিবৃতি তুলে দেন অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা | ছবি: সংগৃহীত

এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার দাবিতে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং সচিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নগরীর মুরাদপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কার্যালয়ের সামনে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। তাদের কারও কারও সঙ্গে অভিভাবকও উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রায় ৫০ জন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বোর্ড কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন। তাদের দাবি, এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে তাদের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল পুনর্বিবেচনা করে পাস করিয়ে দিতে হবে। দুপুর আড়াইটার দিকে তারা কার্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

পরে পুলিশের উপস্থিতিতে বিকেল ৫টার দিকে তারা তালা খুলে দেন এবং তাদের দাবি নিয়ে একটি লিখিত বিবৃতি বোর্ড চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেন।

এমইএস কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মিনহাজুল আবেদীন সাকিব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ চার পয়েন্ট ৯৩ পেয়েছিলাম। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছি। এটা অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত। আমার মতো আরও অনেক শিক্ষার্থী বোর্ড অফিসে গিয়ে তাদের ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'বোর্ড চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আমাদের লিখিত দাবি গ্রহণ করেছেন। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে, বিষয়টি নিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবেন। আমাদের বিষয়টি যেহেতু আলাদা, তাই আমরা অফিসিয়ালি পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করব না।'

যোগাযোগ করা হলে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এএমএম মুজিবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এসএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার দাবিতে কয়েকজন পরীক্ষার্থী আমাদের অবরুদ্ধ করেছিল। আমরা তাদের বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে বলেছি, কিন্তু তারা তা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।'

এই বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিমকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এই বছর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৭৪ হাজার ১২৫ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ পাঁচ হাজার ৪১৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২৬৯ জন, পাসের হার ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ।

Comments

The Daily Star  | English
Largest Islamic bank in the making

Largest Islamic bank in the making

The five banks slated for consolidation are First Security Islami Bank, Union Bank, Global Islami Bank, Social Islami Bank and Exim Bank.

11h ago