বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ বন্ধ করছে যুক্তরাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়

ইলাস্ট্রেশন: সৈয়দা আফরিন তারান্নুম

যুক্তরাজ্যের নতুন অভিবাসন নীতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ সীমিত করছে দেশটির বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়।

আজ বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, ভিসার অপব্যবহার এবং যুক্তরাজ্যের নতুন মানদণ্ড অনুযায়ী অন্তত ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন এই দুটি দেশকে 'উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করছে।

কিছু বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি এই দুই দেশের শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে। আর কিছু প্রতিষ্ঠান শুধু স্নাতক পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ বন্ধ রেখেছে। 

ফিনান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, হঠাৎ ওই দুই দেশের নাগরিকদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নয়টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো—ইউনিভার্সিটি অব উলভারহ্যাম্পটন, সান্ডারল্যান্ড ও কোভেন্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডন, ইউনিভার্সিটি অব হার্টফোর্ডশায়ার, লন্ডন মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড ব্রুকস বিশ্ববিদ্যালয়, বিপিপি ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার ও গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়।

ভর্তির সুযোগ সীমিত করার মূল কারণ যুক্তরাজ্যের বেসিক কমপ্লায়েন্স অ্যাসেসমেন্টের (বিসিএ) নতুন নিয়ম। 
ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেসব দেশকেই বিবেচনায় করতে হবে, যাদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার সর্বোচ্চ ৫ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে—যা আগে ছিল ১০ শতাংশ।

কিন্তু ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ১৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশের ২২ শতাংশ, যা নতুন সীমার অনেক বেশি। 
এ সময়ে যুক্তরাজ্যের প্রত্যাখ্যাত ২৩ হাজার ৩৬টি আবেদনের একটি বড় অংশ এসেছে শুধু এই দুই দেশ থেকেই। পাশাপাশি কাজ বা শিক্ষা ভিসায় যুক্তরাজ্যে এসে পরবর্তীতে আশ্রয় আবেদন বৃদ্ধিও অন্যতম কারণ।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও এতে চাপের মুখে পড়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা স্বল্প খরচের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয়ের প্রধান উৎস। 

বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পড়তে যেতে আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যা একেবারে কম না হলেও, নতুন নিয়ম, বাড়তি যাচাই-বাছাই ও অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে দেশটিতে উচ্চশিক্ষার সিদ্ধান্ত এখন আরও কঠিন হয়ে উঠবে।

Comments

The Daily Star  | English

Anti-liberation forces attempting to resurface: Fakhrul

Struggle for democracy will gain momentum once Tarique Rahman returns, he says

1h ago