বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ইলন মাস্ক, শীর্ষ দশে আর কারা

সেপ্টেম্বরে মার্কিন শেয়ারবাজার নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ফলে বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তি সম্মিলিতভাবে আরও ২০১ বিলিয়ন ডলার সম্পদ আয় করেছেন বলে ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আগস্ট শেষে যাদের সম্পদ কমেছিল, তাদের তিনজন বাদে বাকিরা সেপ্টেম্বরে আরও ধনী হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি আয় করেছেন, বিশ্বের দুই শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক ও ল্যারি এলিসন।
এ বছরের ১ অক্টোবর পর্যন্ত কারা বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী ব্যক্তির তালিকায় আছে তা জেনে নিন।
ইলন মাস্ক
নেট সম্পদ: ৪৯০.৮ বিলিয়ন ডলার
উৎস: টেসলা, স্পেসএক্স, এক্সএআই, এক্স (সাবেক টুইটার)
বয়স: ৫৪
বাসস্থান: অস্টিন, টেক্সাস, যুক্তরাষ্ট্র

ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে টেসলার শেয়ার দর ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। এদে ইলন মাস্কের সম্পদ এক লাফে বেড়েছে। টেসলার বিনিয়োগকারীরা এখন আশাবাদী, মাস্ক আবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করবেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর তিনি নিজেই টেসলার এক বিলিয়ন ডলারের মতো শেয়ার কিনেছেন। এর এক সপ্তাহ আগে কোম্পানির বোর্ড তাকে সবচেয়ে বড় বেতন প্যাকেজ প্রস্তাব করেছে। এখান থেকে মাস্ক অতিরিক্ত প্রায় এক ট্রিলিয়ন ডলারের শেয়ার পেতে পারেন (ট্যাক্স ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে)। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এবং কোম্পানির এআই ও রোবটিক্স পরিকল্পনার কারণে সেপ্টেম্বরে টেসলার শেয়ারের দাম ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।
মাস্ক বর্তমানে টেসলার সিইও, স্পেসএক্সের সিইও, এক্সের (আগে টুইটার) চেয়ারম্যান ও চিফ টেকনোলজি অফিসার এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান এক্সএআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা। ২০২৫ সালের মার্চে এক্সএআই এক্স অধিগ্রহণ করে। এটি কেনার সময় তিনি মূল্যায়ন করেছিলেন ৪৫ বিলিয়ন ডলার (ঋণসহ)। তিনি টুইটার কিনেছিলেন ২০২২ সালে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে। তার দখলে টেসলার প্রায় ১২ শতাংশ শেয়ার আছে, যার কিছু অংশ ঋণের জামানত হিসেবে রাখা।
ইলন মাস্ক ২০০০ সালে নিজের অনলাইন ব্যাংক এক্স.কম পিটার থিয়েলের কোম্পানির সঙ্গে একীভূত করে তৈরি করেন পেপাল। এটিকে ২০০২ সালে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে কিনে নেয় ইবে। ওই বছরই মাস্ক স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৪ সালে তিনি টেসলায় বিনিয়োগ ও চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। ২০০৮ সালে তিনি টেসলার সিইও হন এবং ২০১০ সালে কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে নিয়ে আসেন।
২০১৫ সালে তিনি স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে মিলে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওপেনএআই প্রতিষ্ঠা করেন। তবে ২০১৮ সালে বোর্ড থেকে সরে যান। পরবর্তীতে দু'জনের মধ্যে প্রকাশ্যে শীতল যুদ্ধ শুরু হয়।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে মাস্ক প্রথমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হন। তিনি ২০২২ সালের বেশিরভাগ সময় সেই অবস্থানে ছিলেন, তবে ডিসেম্বর ২০২২ সালে পিছিয়ে যান। আবার ২০২৩ সালের জুনে শীর্ষে ফিরে আসেন এবং পুরো বছর এক নম্বরে থাকেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি আবার দ্বিতীয় স্থানে নেমে যান। তবে ২০২৪ সালের মে থেকে এক্সএআই প্রাইভেট বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার তোলার পর আবার এক নম্বরে উঠে আসেন। বর্তমানে তার দাবি, এক্সএআইয়ের মূল্য ৮০ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, প্রাইভেট টেন্ডারের মাধ্যমে আগস্টে স্পেসএক্সের মূল্য ৪০০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
ল্যারি এলিসন
নেট সম্পদ: ৩৪১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার
উৎস: ওরাকল
বয়স: ৮১
বাসস্থান: ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র

ওরাকলের শেয়ার গত ১০ সেপ্টেম্বর ৩৬ শতাংশ বেড়ে যায়। এতে এলিসনের সম্পদ একদিনে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। কোম্পানি যখন ঘোষণা করে, আগামী চার বছরে তাদের ক্লাউড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যবসা ৭০০ শতাংশ বেড়ে ১৪৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। তখনই শেয়ারের দর বাড়তে শুরু করে। তবে পরবর্তীতে শেয়ারের দাম কিছুটা কমে যায় এবং সেপ্টেম্বর শেষে দাঁড়ায় ২৪ শতাংশে।
গত জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরদিন 'স্টারগেট প্রজেক্ট' ঘোষণা দেন। তখন সেখানে এলিসন উপস্থিত ছিলেন। এই উদ্যোগের সঙ্গে আছে এলিসনের প্রতিষ্ঠান ওরাকল, চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই, জাপানের মাসায়োশি সন, ট্রাম্পের সফটব্যাংক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমজিএক্স। এই গ্রুপ চার বছরে ৫০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে যুক্তরাষ্ট্রে এআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার, মূলত ডেটা সেন্টার তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এলিসন তার ছেলে ডেভিডের সঙ্গে মিলে আগস্টে প্যারামাউন্ট ও ডেভিডের স্কাইডান্স মিডিয়া একীভূত করেন। বর্তমানে এলিসন একীভূত কোম্পানির প্রায় ৭৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটিং রাইটস নিয়ন্ত্রণ করেন।
এলিসন ১৯৭৭ সালে ওরাকল সফটওয়্যার কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠা ছিলেন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি সিইও ছিলেন। বর্তমানে তিনি কোম্পানির চেয়ারম্যান ও চিফ টেকনোলজি অফিসার। ২০১২ সালে তিনি ৩০০ মিলিয়ন ডলারে হাওয়াই দ্বীপ লানাইয়ের ৯৮ শতাংশ কিনে নেন। এছাড়াও তার ক্যালিফোর্নিয়া, নেভাডা ও ফ্লোরিডায় বাড়ি রয়েছে। এলিসন টেসলায় বিনিয়োগ করেছিলেন এবং ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানিটির বোর্ডে ছিলেন।
মার্ক জাকারবার্গ
নেট সম্পদ: ২৫১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার
উৎস: মেটা (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ)
বয়স: ৪১
বাসস্থান: পালো আল্টো, ক্যালিফোর্নিয়া

জাকারবার্গ ২০০৪ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থী থাকাকালীন ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠা ছিলেন। এখন মেটা নামে পরিচিত এই প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হয়ে উঠেছে। কোম্পানিটি ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মালিক। এগুলো তারা অধিগ্রহণ করে ব্যাপক সম্প্রসারণ করেছে। জাকারবার্গ এখনো সিইও পদে রয়েছেন। ২০১২ সালে তিনি কোম্পানিটিকে শেয়ারবাজারে আনেন এবং এখনো প্রায় ১৩ শতাংশ শেয়ার তার মালিকানায় আছে।
জেফ বেজোস
নেট সম্পদ: ২৩২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার
উৎস: অ্যামাজন
বয়স: ৬১
বাসস্থান: মায়ামি, যুক্তরাষ্ট্র

বেজোস ১৯৯৪ সালে ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন। ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি সিইও ছিলেন এবং বর্তমানে এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান পদে আছেন। অ্যামাজন.কম প্রতিষ্ঠার আগে বেজোস টিনএজে ম্যাকডোনাল্ডসে কাজ করেছিলেন। অ্যামাজন শুরু হয়েছিল একটি অনলাইন বই বিক্রেতা হিসেবে। ওই সময়ে অনলাইনে খুব কম মানুষই পণ্য কিনতেন। পরে কোম্পানি ক্লাউড স্টোরেজে আধিপত্য বিস্তার করে এবং অ্যামাজন প্রাইম নিয়ে সিনেমা ও সিরিজ প্রযোজনায় নামে।
বেজোস ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন। ২০২২ সালে তিনি দ্বিতীয় স্থানে নেমে আসেন এবং ২০২৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত তৃতীয় স্থানে আছেন।
২০১৯ সালে বেজোস ও তার প্রথম স্ত্রী ম্যাকেনজি স্কটের বিচ্ছেদ হয়। সমঝোতার অংশ হিসেবে স্কট অ্যামাজনের ৪ শতাংশ শেয়ার পান এবং বেজোস রাখেন ১২ শতাংশ। এরপর থেকে তিনি আরও শেয়ার বিক্রি ও দান করেছেন এবং বর্তমানে তার কাছে কোম্পানির ৮ শতাংশ শেয়ার আছে। ১৯৯৭ সালে অ্যামাজন শেয়ারবাজারে আসার পর থেকে ফোবর্সের হিসাব অনুযায়ী, বেজোস তার শেয়ারের মোট ৪৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছেন। বেজোস এক্সপেডিশনসের মাধ্যমে তিনি এয়ারবিএনবি ও সফটওয়্যার কোম্পানি ওয়ার্কডেসহ নানা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন।
ল্যারি পেজ
নেট সম্পদ: ২০২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার
উৎস: গুগল
বয়স: ৫২

ল্যারি পেজ ১৯৯৮ সালে স্ট্যানফোর্ডের শিক্ষার্থী সার্গেই ব্রিনের সঙ্গে মিলে সার্চ ইঞ্জিন গুগল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ২০০১ সাল পর্যন্ত ও ২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি গুগলের মূল কোম্পানি আলফাবেটের বোর্ড মেম্বার।
২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিচ) জানিয়েছিল, গুগলকে ক্রোম ব্রাউজার বিক্রি করতে হবে। যেন কোম্পানির অনলাইন আধিপত্য কমে। উত্তরে গুগল একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, এই পদক্ষেপ গ্রাহকদের জন্য ক্ষতিকর হবে এবং আমেরিকার প্রযুক্তি শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে সেপ্টেম্বরে একটি ফেডারেল বিচারক রায় দেন, গুগলকে ক্রোম বিক্রি করতে হবে না। এরপর আলফাবেটের শেয়ার দর গত মাসে ১৪ শতাংশ বেড়েছে।
পেজ ছিলেন অ্যাস্টেরয়েড মাইনিং কোম্পানি প্লানেটরি রিসোর্চসের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন বিনিয়োগকারী। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালে ব্লকচেইন কোম্পানি কনসেনসিস অধিগ্রহণ করে।
সের্গেই ব্রিন
নেট সম্পদ: ১৮৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার
উৎস: গুগল
বয়স: ৫১

সের্গেই ব্রিন আলফাবেটের এআই কৌশলে সাহায্য করছেন। ব্রিন গত বছর সাময়িক অবসর থেকে ফিরে গুগলের জেমিনাই এআই চ্যাটবট পরিবর্তনের প্রস্তাব দেন। ডিসেম্বরে মডেলটি উন্মুক্ত করার সময় তিনি 'কোর কন্ট্রিবিউটর' হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ব্রিন বর্তমানে গুগলের মূল কোম্পানি আলফাবেটের বোর্ড মেম্বার ও নিয়ন্ত্রণমূলক শেয়ারহোল্ডার।
জেনসেন হুয়াং
নেট সম্পদ: ১৬২ বিলিয়ন ডলার
উৎস: এনভিডিয়া (চিপস ও সেমিকন্ডাক্টর)
বয়স: ৬২

জেনসেন হুয়াং ১৯৯৩ সালে এনভিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকে তিনি সিইও ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হুয়াং কোম্পানির প্রায় ৩ শতাংশ শেয়ারের মালিক, যা তিনি ১৯৯৯ সালে পাবলিক করেন। হুয়াংয়ের নেতৃত্বে এনভিডিয়ার জিপিইউ প্রথমে কম্পিউটার গেমিংয়ে এবং এখন এআইতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তাইওয়ানে জন্ম নেওয়া হুয়াং ছোটবেলা থাইল্যান্ডে চলে যান। তবে সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়লে পরিবার তাকে ও তার ভাইকে যুক্তরাষ্ট্র পাঠায়।
বার্নার্ড আর্নল্ট
নেট সম্পদ: ১৫৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার
উৎস: এলভিএমএইচ (লুই ভুইটন, ডিওর, শ্যানেল ইত্যাদি বিলাসদ্রব্য)
বয়স: ৭৬
দেশ: ফ্রান্স

বার্নার্ড আর্নল্ট হলেন বিলাসি পণ্য গ্রুপ এলভিএমএইচের সিইও ও চেয়ারম্যান। আর্নল্টের পিতা নির্মাণ ব্যবসা থেকে মিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছিলেন। ক্যারিয়ার শুরু করতে আর্নল্ট তার পিতার ওই সম্পদের ১৫ মিলিয়ন ডলার ব্যবহার করে ক্রিস্টিয়ান ডিওর কিনে নেন। এরপর তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিলাসি পণ্য কোম্পানি গড়ে তোলেন। এর মধ্যে প্রায় ৭০টি ফ্যাশন ও কসমেটিক ব্র্যান্ড আছে। যেমন লুই ভুটন, ক্রিস্টিয়ান ডিওর, মোয়েট ও চ্যানডন, সেফোরা এবং জুয়েলারি টিফানি অ্যান্ড কোম্পানি।
আর্নল্ট ২০২৩ সালের প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময় এবং ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন।
স্টিভ বলমার
নেট সম্পদ: ১৫৬ বিলিয়ন ডলার
উৎস: মাইক্রোসফট, লস অ্যাঞ্জেলেস ক্লিপারস (এনবিএ দল)
বয়স: ৬৯

প্রাক্তন মাইক্রোসফট সিইও জুন মাসে একটি পডকাস্টে বলেন, ২০১৪ সালে কোম্পানি ছাড়ার পর থেকে তিনি মাইক্রোসফটের বেশিরভাগ শেয়ার ধরে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বলমার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিল গেটসের সহপাঠী ছিলেন। ১৯৮০ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ প্রোগ্রাম ছাড়ার পর মাইক্রোসফটে ৩০তম কর্মী হিসেবে যোগ দেন। তিনি ২০০০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মাইক্রোসফটের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বলমার মাইক্রোসফট থেকে অবসরের সময় ২ বিলিয়ন ডলারে লস অ্যাঞ্জেলেস ক্লিপার্স দলের মালিক হন। ফোর্বস বর্তমানে দলটির মূল্য ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে দেখেছে।
ওয়ারেন বাফেট
নেট সম্পদ: ১৫০ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার
উৎস: বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে
বয়স: ৯৫

ওয়ারেন বাফেট বিশ্বের অন্যতম সফল বিনিয়োগকারীদের একজন। একজন মার্কিন কংগ্রেসম্যানের সন্তান হিসেবে তিনি প্রথম শেয়ার কিনেছিলেন ১১ বছর বয়সে এবং প্রথমবার কর দাখিল করেছিলেন ১৩ বছর বয়সে। তিনি এখনও বার্কশায়ার হ্যাথওয়ে পরিচালনা করেন। এটি ডজনখানেক কোম্পানির মালিক। যার মধ্যে আছে বিমা কোম্পানি গেইকো, ব্যাটারি নির্মাণ কোম্পানি ডুরাসেল এবং রেস্টুরেন্ট চেইন ডেইরি কুইন। মে মাসে তিনি ঘোষণা করেন, ২০২৫ সালের শেষে তিনি সিইও পদ থেকে অবসর নেবেন। ৩০ আগস্ট বাফেট ৯৫ বছর পূর্ণ করেন।
বাফেট একবার বলেছিলেন, তিনি তার সম্পদের ৯৯ শতাংশ দান করবেন। এখন পর্যন্ত তিনি প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন বলে ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়।
Comments