বেনাপোলে সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের কর্মবিরতি, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ সংশোধনসহ বিভিন্ন দাবিতে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে বেনাপোল বন্দরে।

আজ মঙ্গলবার বেনাপোল বন্দরে সকাল থেকে দু'দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধসহ  বন্দরের পণ্য ওঠা-নামা ও খালাস প্রক্রিয়া বন্ধ আছে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, 'বন্দর ব্যবহারকারীরা ধর্মঘট করলেও আমরা কাস্টমস হাউস, বন্দর ও চেকপোস্ট খোলা রেখেছি এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।'

তিনি আরও বলেন, 'শুধু বেনাপোল কাস্টম হাউসে এই ধর্মঘটের ফলে একদিনে ৩০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।'

তবে, কাস্টমস ও বন্দরের ইন্টারনাল কার্যক্রম চলছে। ও দু'দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক আছে।

কর্মবিরতিতে দু'দেশের বন্দর এলাকায় প্রায় হাজার হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকে পড়েছে। ফলে, উচ্চ পচনশীল পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গার্মেন্টস ও শিল্প কলকারখানা কাঁচামাল বন্দরে আটকা পড়ায় উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে বন্দরের ৫টি সংগঠন কাস্টমস ও বন্দরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা-২০২০ সংশোধনসহ এইসএস কোড পরিবর্তন করে ২০০ শতাংশ জরিমানা আদায়ের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর, ঢাকা কাস্টমস হাউস, আইসিটি, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, মোংলা বন্দর, হিলি বন্দর, সোনামজিদ বন্দর ও ভোমরা স্থলবন্দরগুলোতেও একযোগে ধর্মঘট পালিত হচ্ছে।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ সিঅ্যান্ডএফ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডি এজেন্ট অ্যসোসিয়েশনের মহাসচিব সুলতান আহম্মেদ খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে।

Comments

The Daily Star  | English
US wants Bangladesh trade plan,

Reducing US trade GAP: Dhaka turns to Boeing, wheat imports

Bangladeshi officials are preparing for a third round of talks in Washington next week

8h ago