‘আওয়ামী লীগের উন্নয়ন আমাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে হারিকেন মিছিল করেন ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা। ছবি: স্টার

'বর্তমান সরকার জনগণের সামনে উন্নয়নের মূলা ঝুলিয়েছে। সে উন্নয়ন আজকে আমাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে।'

আজ সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড।

সমাবেশ শেষে 'হারিকেন মিছিল' করেন ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা। রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি নীলক্ষেত, কাঁটাবন হয়ে হাতিরপুলে গিয়ে শেষ হয়৷

মিছিলের আগে সমাবেশে মশিউর বলেন, 'আজকে দেশের সম্পদকে চুষে ছোবড়া বানানো হয়েছে। এরপর তারা বিদেশে পাড়ি জমাবে। তাই তারা উন্নয়নের মূলা ঝুলাচ্ছে। কিন্তু সে উন্নয়ন আজ আমাদের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে। তাই আমরা হারিকেন মিছিল করছি।'

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমরা বলেছি, দেশকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে নিয়ে যেতে হবে। আমরা বলেছি, মাটির নিচে এবং সমুদ্রে গ্যাস আছে। এগুলোকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা বহু বছর ধরে বলে আসছি, কুইক রেন্টাল একটি লুটপাটের প্রকল্প। এর বিরোধিতা করায় আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।'

বর্তমান জ্বালানি সংকটের জন্য সরকারের ভুল নীতিকে দায়ী করে তিনি বলেন, 'জ্বালানি সংকটের পেছনে ইউক্রেন যুদ্ধ দায়ী নয়। যুদ্ধ সংকটকে তরান্বিত করেছে। এর জন্য দায়ী আপনাদের দুর্নীতি। আপনাদের লুটের পরিকল্পনা। আপনাদের দুর্নীতির জন্য দেশের ১৮ কোটি মানুষকে ভুগতে হচ্ছে।'

ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, 'আমরা করব সাশ্রয়, আর তারা করবে লুটপাট। আমরা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে শপিং মল, দোকানপাট বন্ধ রাখব। আর তারা তাদের দলের অনুসারীদের নতুন নতুন প্রকল্প দিবে।

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, 'বিএনপির আমলে বিদ্যুতের সংকট হয়েছিল। সেই সংকটকে কাজে লাগিয়ে কুইক রেন্টালের নামে সরকার ডিজাস্টার ক্যাপিটালিজমের মাধ্যমে নিজেদের পকেট ভারী করেছে।'

ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী সবকিছুর একটা বিকল্প সমাধান দিয়ে দেন। কিন্তু এই যে বিদ্যুৎ সংকট, রিজার্ভ কমে যাওয়া, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এসব সংকটের বিকল্প কি? আমরা আজকে হীরক রাজার দেশে বসবাস করছি। সরকারের বন্দনা করতে হবে, সমালোচনা করা যাবে না। জনগণকে উপদেশ না দিয়ে এমপি-মন্ত্রী-আমলাদের নিজেদের সচেতন হওয়া দরকার। দেশ দেউলিয়া হলে আমাদের সবাইকে এর কুফল ভোগ করতে হবে। তাই সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh welcomed 20 percent US tariff

Bangladesh gains edge after US tariff cut

Trump admin has reduced tariffs on Bangladeshi goods from 35% to 20%, a move expected to strengthen the country’s competitiveness against rivals such as India and Vietnam

8h ago