হবিগঞ্জে কালনী-কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার উপরে

হবিগঞ্জ শহরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ের সামনে রাস্তা পানিতে ডুবে গেছে। ছবি: সংগৃহীত

টানা ভারী বর্ষণ, উজানের পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হচ্ছে হবিগঞ্জ শহরের নিম্নাঞ্চল। নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চলগুলোও প্লাবিত হচ্ছে। পানি বাড়ছে হবিগঞ্জের কালনী ও কুশিয়ারা নদীতে। নদীগুলোর পানি এখন বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আজ শুক্রবার হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, গত ২ দিনের ভারী বৃষ্টিতে হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোতে পানি উঠে যাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে যান চলাচলে। এ ছাড়া পানি ঢুকে গেছে দোকান ও বাসার ভেতরে।

জেলা শহরে অবস্থিত সার্কিট হাউজ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পুলিশ সুপারের বাসভবন, জেলা প্রশাসকের বাসভবন এবং গণপূর্ত বিভাগের কার্যালয়ের ভেতর পানিতে থইথই।

স্থানীয়রা বলছেন, ভারী বৃষ্টি হলে পুরো হবিগঞ্জ শহরে দীর্ঘ সময় ধরে পানি জমে থাকে। বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে যায়। এ সমস্যা দীর্ঘদিনের। এখানকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন না ঘটালে সমস্যাটি কাটবে না।

আজ শুক্রবার বিকেলে প্রায় ৩-৪ ফুট জলাবদ্ধতার মধ্যে দিয়ে হবিগঞ্জ শহরবাসী চলাচল করছেন। শহরের প্রধান সড়কে গাড়ির সঙ্গে নৌকাও চলছে। ফুটপাতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মালামাল ভেসে যাচ্ছে।

এ ছাড়া, শহরের শায়েস্তানগর, উত্তর শ্যামলী, দক্ষিণ শ্যামলী, গোসাইনগর, সার্কিট হাউজ রোড, মাহমুদাবাদ, গার্ণিং পার্কসহ আরও কয়েকটি এলাকার বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। দোকানের ভেতর ঢুকে যাওয়া পানি সেচে বের করছেন ব্যবসায়ীরা।

উপজেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বাড়ি-ঘর, মসজিদ, মন্দির, রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে পড়েছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কৃষক ওয়ারিশ মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নদীর পানি প্রতিদিন বাড়ছে। বাড়ির সামনেও পানি এসে পড়েছে। আর কয়েকদিন এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার হওয়ার আশঙ্কা আছে।'

এ বিষয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হবিগঞ্জ শহরে কালনী ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে হাওরাঞ্চলের প্রতিটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।'

বন্যা দুর্গতদের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago