‘কানাডায় ছেলের সঙ্গে জীবনের সেরা জন্মদিন পালন করছি’

ববিতা। ফাইল ছবি: শাহরিয়ার কবীর হিমেল/স্টার

আমাদের চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রী ববিতা। অসংখ্য সফল সিনেমার এই নায়িকা বর্তমানে কানাডায় রয়েছেন তার একমাত্র পুত্র অনীকের কাছে।

আজ ৩০ জুলাই ববিতার জন্মদিন।

দিনটি উদযাপন করছেন ছেলে অনীকের সঙ্গে। ববিতা কানাডা থেকে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাত্র কয়েকদিন হলো এসেছি। ভীষণ ভালো লাগছে ছেলের সঙ্গে জন্মদিন পালন করতে পারছি। কানাডায় ছেলের সঙ্গে জীবনের সেরা জন্মদিন পালন করছি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমার জন্মদিনে ছেলের অফিস বন্ধ। সেজন্য দিনভর সময় দিচ্ছে আমাকে। গাছপালা আমার অনেক পছন্দের। সেজন্য ছেলে আমাকে সুন্দর একটি জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে দুজনে দারুণ সময় কাটিয়েছি।

জন্মদিনে ছেলের জন্য স্পেশাল রান্না করেছি। অনীকের পছন্দের খাবার রান্না করে নিজের কাছে মনে হয়েছে এর চেয়ে আনন্দ বুঝি আর নেই, বলেন ববিতা।

ববিতা

জন্মদিনে ছেলের কাছ থেকে পাওয়া সারপ্রাইজের বিষয়ে ববিতা বলেন, 'ছেলের সঙ্গে জন্মদিন পালন করাটাই জীবনের বড়  সারপ্রাইজ। তারপরও আমাকে নিয়ে বাইরে ডিনার করবে। আর বিশেষ দিন উপলক্ষে আমাকে গিফটও করেছে। এসবই তো সারপ্রাইজ।'

কথায় কথায় ববিতা আরও বলেন, 'আজকের সকালটা শুরু হয়েছে অন্যরকম সুন্দরভাবে। আমার ছেলে সবার আগে ইউশ করেছে। এ ছাড়া আমেরিকা থেকে ভাই ও তার পরিবারের সদস্যরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।'

জন্মদিন মানেই তো জীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যাওয়া। জীবনে যদি ভালো কিছু করে থাকি তার জন্যই মানুষ আমাকে মনে রাখবেন, যোগ করেন ববিতা।

এদিকে ববিতার জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকায় ডিসিআই সংগঠনের শিশুরা সুন্দর করে দিনটি পালন করেছেন। এই সংগঠনের শুভেচ্ছা দূত ববিতা। সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে এই সংগঠন। ডিসিআই এর সদস্যদের জন্য ববিতা দীর্ঘ দিন ধরে কাজ
করছেন।

এ বিষয়ে ববিতা বলেন, 'এইসব শিশুদের হাসিমুখ দেখতে পারাটা আমার জীবনের বড় একটি ঘটনা। গত ঈদেও ওদের জন্য কিছু করেছি। সব সময় ওদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি।'

আজ ববিতার জন্মদিনে ডিসিআই-এর শিশুরা ঢাকায় গান করে দিনটি পালন করেছে । কেক কেটেছে। ববিতা বলেন, 'ওদের আজকের দিনে ভীষণ মিস করছি।'

সবশেষে ববিতা বলেন, 'বিশেষ দিনে একটাই চাওয়া সব মানুষের মঙ্গল হোক।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

2h ago