অজানা কেকে

কেকে। ছবি: সংগৃহীত

গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। তিনি 'কেকে' নামেই বেশি পরিচিত। জনপ্রিয় এই গায়ক হঠাৎ করেই চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তবে, তার গান বেঁচে থাকবে অনন্তকাল।

তিনি 'রইস', 'জান্নাত', 'ওম শান্তি ওম' ও 'কাইটস'র মতো সিনেমাতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। কলকাতার এক কনসার্টে পারফর্ম করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

বলিউডের এই কিংবদন্তি গায়কের ১০ অজানা তথ্য জেনে নিন:

* বলিউডে গান গাওয়ার পাশাপাশি সাড়ে ৩ হাজারের বেশি জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিয়েছেন এই কিংবদন্তি গায়ক। ১৯৮৫ সালে তিনি জিঙ্গেল দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন।

* কেকে'র গানের যাত্রা তার মায়ের মালায়ালাম গান শোনার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। যে গানটি তার বাবা টেপ রেকর্ডারে রেকর্ড করেছিলেন।

* ১৯৭৩ সালে 'রাজা রানি' সিনেমার 'জব আন্ধেরা হোতা হে' গানটি মঞ্চে গেয়ে দারুণ প্রশংসিত হন কেকে। তখন থেকে তিনি গানের প্রতি আরও মনোযোগী হন। গানটির মূল শিল্পী ছিলেন ভূপিন্দর সিং ও আশা ভোঁসলে।

* কেকে তার ছেলেবেলার বান্ধবী জ্যোতি কৃষ্ণকে বিয়ে করেন। তবে, তাকে বিয়ে করার পথ তার জন্য মোটেও সহজ ছিল না। কারণ তার কোনো চাকরি ছিল না। তাই তিনি ৬ মাস সেলসম্যানের কাজ করেন। পরে চাকরিটি ছেড়ে দেন। তারপর স্ত্রী ও বাবা তাকে সংগীতে ফিরতে রাজি করান এবং আবার জিঙ্গেলে কাজ শুরু করেন।

* কেকে অনেক চার্টবাস্টার বলিউড গান গেয়েছিলেন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও তিনি খুব বেশি পুরষ্কার পাননি। তিনি শুধু ২০০৯ সালে বাচনা অ্যায় হাসিনোতে 'খোদা জানে' গানের জন্য একটি বড় পুরষ্কার পান। তখন বলেছিলেন, তিনি পুরষ্কারের জন্য কারো পেছনে ঘোরেন না।

* কেকের গান শ্রোতাদের মধ্যে জনপ্রিয় হলেও তিনি মনে করতেন, বেশির ভাগ মানুষই তাকে চিনতেন না।

* কেকে কখনো পেশাদার বাদ্যযন্ত্র প্রশিক্ষণ নেননি এবং শাস্ত্রীয়ভাবে প্রশিক্ষিত গায়ক ছিলেন না।

* কেকে আরেক কিংবদন্তি কেকে ওরফে কিশোর কুমারের ডাইহার্ড ফ্যান ছিলেন।

* কেকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতক ছিলেন। তিনি একজন বহুমুখী গায়ক ছিলেন এবং তার একটি বহুমুখী কণ্ঠস্বর ছিল। তার কণ্ঠস্বর সব ভাষায় গাওয়া গানের সঙ্গে মানানসই ছিল।

সূত্র: পিঙ্কভিলা

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s deadly order

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

5h ago