মিয়ানমারে ৪ গণতন্ত্রপন্থির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

মিয়ানমারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা ৪ গণতন্ত্রপন্থির একজন কাউ মিন ইউ। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

মিয়ানমারে 'সন্ত্রাসী কার্যকলাপে' সহযোগিতার অভিযোগে দেশটির সামরিক সরকার ৪ গণতন্ত্রপন্থির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।

আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহল তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত জানুয়ারি ও এপ্রিলে রুদ্ধদ্বার বিচারে 'সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে সহায়তা করার' অভিযোগ এনে এই ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

সামরিক সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব মিয়ানমারকে এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। তবে কখন তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় সে সম্পর্কে কিছু বলেননি।

মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থি 'প্রশাসন' ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) এ ঘটনার নিন্দা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সেনা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

এনইউজির প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র কিয়াও জ রয়টার্সকে বলেন, 'খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সামরিক সরকারের নৃশংসতার নিন্দা জানাই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই নৃশংসতার জন্য সেনা সরকারকে শাস্তি দেওয়া।'

সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাদের মধ্যে গণতন্ত্রপন্থি কাউ মিন ইউ (৫৩) এবং সাবেক আইনপ্রণেতা ও হিপহপ শিল্পী ফিও জিয়া থ (৪১) রয়েছেন।

তারা মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সু চির সহযোগী ছিলেন। গত জুনে তাদের আপিল খারিজ হয়।

অন্য ২ জন হলেন: হ্লা মিও অং ও অং থুরা জাও। তাদের পরিচয় সম্পর্কে প্রতিবেদনে কিছু বলা হয়নি।

মিয়ানমারের মানবাধিকার বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার টম অ্যান্ড্রুজ বার্তায় বলেছেন, 'তাদের পরিবার, বন্ধু-স্বজনদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। মিয়ানমারে সামরিক সরকারের নির্যাতনের শিকার সব মানুষের প্রতি সহমর্মিতা রইলো।'

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের আঞ্চলিক পরিচালক এরভিন ফন দার বরঘট বলেন, 'এই ঘটনা মিয়ানমারের অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতির আরেক উদাহরণ।'

Comments

The Daily Star  | English

Hopes run high as DU goes to vote today

The much-anticipated Ducsu and hall union elections are set to be held today after a six-year pause, bringing renewed hope for campus democracy.

3h ago