নারীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার: সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে পুলিশ

সাভার
ছবি: স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

সাভার পৌর এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে এক নারীর হাত, পা ও মুখ বাঁধা মরদেহ উদ্ধারের পর তদন্তে শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধারণা করছে, এটি হত্যাকাণ্ড।

আজ বুধবার সকালে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

তিনি বলেন, ওই ফ্ল্যাটে চুরি বা লুটের ঘটনা ঘটেনি। যে কারণে আমরা ধারণা করছি এটি হত্যাকাণ্ড।

গতকাল দুপুর ৩টার দিকে সাভার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিনদবাইদ এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে হাজেরা খাতুন (৬৫) নামে এক নারীর হাত, পা ও মুখ বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, হাজেরাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ৬ তলা বাড়ির ৪ তলার ফ্ল্যাটে একাই থাকতে হাজেরা এবং বাড়িটি দেখাশোনা করতেন।

ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী সাইদুল রহমান ডেইলি স্টারকে জানান, দুপুরে বোরকা পরা এক নারী বাসা ভাড়া নেওয়ার জন্য কথা বলতে আসেন। তিনি যখন ৪ তলার ফ্ল্যাটে যান সাইদুল তার সঙ্গেই ছিলেন। কিছুক্ষণ পরে তারা সাইদুলকে চলে যেতে বলেন।

সাইদুল আরও জানান, সে সময় ছাদে মিস্ত্রিরা কাজ করছিল। তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় তিনি ৪ তলার ফ্ল্যাটের দরজা খোলা দেখতে পান। ভেতরে গিয়ে দেখেন হাজেরার হাত দড়ি দিয়ে, পা ওড়না দিয়ে বাঁধা এবং মুখে স্কচটেপ পেঁচানো। বোরকা পরা সেই নারী নেই। মিস্ত্রির সহায়তায় বাঁধন খুলে সাইদুল বুঝতে পারেন হাজেরা মারা গেছেন। তখন তিনি জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাকারিয়াস দাস বলেন, ৯৯৯ থেকে তথ্য পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগও (সিআইডি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের মনে হয়েছিল এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে। যে কারণে আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি।

মাঈনুল ইসলাম আরও বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আমরা হত্যাকারীর পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। প্রথমে মনে করা হয়েছিল হত্যার মোটিভ চুরি বা লুট। তবে বাসার সব জিনিস যথাস্থানে রয়েছে। ফুটেজ বিশ্লেষণ করেই আমরা হত্যার মোটিভ বোঝার চেষ্টা করছি।

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

8h ago