নাব্যতা সংকটে জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ ফেরি চলাচল বন্ধ

ফেরি চলাচল বন্ধ করায় যাত্রীরা ট্রলারে নদী পার হচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত

বর্ষাকালেও পদ্মা নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে রাজবাড়ী ও পাবনা জেলার মধ্যে জৌকুড়া-নাজিরগঞ্জ নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জৌকুড়া ফেরি ঘাটটি রাজবাড়ী জেলায় আর নাজিরগঞ্জ ফেরি ঘাটটি পাবনা জেলায় অবস্থিত। গতকাল শনিবার থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন এ নৌপথ দিয়ে চলাচল করা যাত্রী, পণ্যবাহী যানচালকরা।

রাজবাড়ী সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের নৌ যোগাযোগের অন্যতম রুট জৌকুরা-নাজিরগঞ্জ নৌপথ। বর্ষা মৌসুমে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নে জৌকুরা ঘাট ফেরিঘাট থেকে প্রতিদিন সাধারণত ৩ বার ফেরি ছেড়ে যায়। একইভাবে পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ থেকেও ৩ বার ফেরি ছেড়ে আসে।

প্রতিদিন জৌকুড়া ফেরিঘাট থেকে সকাল ৮টা, দুপুর ১২টা ও বিকেল ৫টায় ফেরি ছেড়ে যায় নাজিরঞ্জের উদ্দেশে। আর সকাল ১১টায়, দুপুর ২টায় ও রাত ৯টায় নাজিরগঞ্জ থেকে জৌকুরার উদ্দেশে ছেড়ে আসে।

ফেরি ছাড়াও ২টি লঞ্চ ও কয়েকটি ট্রলার এই নৌপথে যাত্রী ও মালামাল পারাপার করে। এই নৌপথ দিয়ে প্রতিদিন রাজবাড়ী ছাড়াও ফরিদপুর, মাদারীপুর, পিরোজপুর, বরিশাল, গোপালগঞ্জসহ আশেপাশের জেলাগুলোর বাস ও মালবাহী ট্রাক পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুর, নাটোরসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে।

এই নৌপথ ব্যবহারে অন্তত ১২০ কিলোমিটার পথ সাশ্রয় হয়। এ কারণে বাস ও ট্রাক ছাড়াও এ রুটে মাইক্রোবাস, মোটর সাইকেলসহ ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন যাতায়াত করে।
মোটরসাইকেল চালক আব্দুল ওহাবের বাড়ি মাগুরার মোহম্মদপুরে। তিনি বগুড়ায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

আজ রোববার জৌকুড়া ফেরিঘাটে এসে তিনি জানতে পারেন যে ফেরি বন্ধ। তাই তিনি ট্রলারে করে পদ্মা নদী পার দিয়েছেন।

পাবনা থেকে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন সোহেল রানা। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই নৌপথ দিয়ে আমরা প্রায়ই আসাযাওয়া করি। কিন্তু ফেরি বন্ধ থাকায় আমাদের সমস্যা হচ্ছে।'

জানতে চাইলে রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নওয়াজিস রহমান বিশ্বাস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পদ্মা নদীতে পানি কমে যাওয়ায় এই নৌপথে সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে আবার ফেরি চলাচল শুরু হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

4h ago