বঙ্গবন্ধু সেতু সংযোগ সড়কে আজও ১৩ কিলোমিটার যানজট

টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। ছবি: স্টার

শুক্রবার দিন রাত তীব্র যানজটের পর আজ শনিবারও টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে থেমে থেমে চলছে যানবাহন। এতে যথারীতি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ।

অতিরিক্ত গাড়ির চাপ এবং রাস্তায় যানবাহন বিকল হয়ে যাওয়ায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব সংযোগ সড়কের ১৩ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রী, পরিবহনকর্মী ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু সেতুর ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম সূত্র ডেইলি স্টারকে জানায়, সেতুর উভয় প্রান্তে উভয় লেনে যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। তবে সেতুর ওপর কোনো যানজট নেই।

সংযোগ সড়কের যানজট এড়াতে সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে কিছু গাড়ি ভূঞাপুর লিংক রোড দিয়ে বাইপাস করে দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু এলেঙ্গার দিকে গাড়ি সেভাবে টানতে না পারায় সংযোগ সড়কে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতাউর রহমান ডেইলি স্টারকে জানান, মহাসড়কে যাত্রী ও যানবাহনের ঈদ পরবর্তী তীব্র চাপ এবং সরু সংযোগ সড়কের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

ছবি: স্টার

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার ৪ লেনের মহাসড়ক। কিন্তু এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক ২ লেনের। ৪ লেন থেকে শত শত গাড়ি একবারে ২ লেন সংযোগ সড়কে ঢুকতে গেলেই বিপত্তি বাঁধে, সৃষ্টি হয় যানজট।

ঈদে এই মহাসড়কে যান চলাচল কয়েকগুণ বেড়ে যায়। উপরন্তু আনফিট ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর সমস্যা আছেই। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে পুলিশ।

ঈদুল আজহার আগে টানা ৩ দিন এই মহাসড়কে দুঃসহ যানজটে অসহনীয় ভোগান্তির শিকার হন ঘরে ফেরা লাখো মানুষ।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, উত্তরের গেটওয়ে হিসেবে পরিচিত টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৫টিসহ মোট ২৬টি জেলার প্রায় ১১৬টি রুটের যানবাহন চলাচল করে।

প্রতি বছর ঈদে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে এই মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তির শিকার হন যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকরা।   

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

2h ago