ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। ছবি: স্টার

ঈদ ঘিরে ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে উত্তরের যাত্রায় বেড়েছে যানবাহনের চাপ। দূরপাল্লার গণপরিবহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত যানবাহনও বেড়েছে। গণপরিবহন সংকটে খোলা ট্রাক, বাস ও পিকআপে করেও গন্তব্যে রওনা হয়েছেন অনেকেই।

আজ সোমবার সকালে মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

তবে, গতকাল দিনগত রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর গাড়ি বিকল ও মহাসড়কের কালিহাতীর ভাবলা এলাকায় ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাজ্জাদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মহাসড়কে আজ যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোনো যানজট সৃষ্টি হয়নি। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ছুটি দেওয়া হলে দুপুরের পর থেকে শুরু করে আগামীকাল ও পরশু দুদিন গাড়ির চাপ থাকবে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার ভোর ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা) বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৯ হাজার ৭৮০টি যানবাহন পার হয়েছে, যা থেকে টোল আদায় হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার ব্যাপক আকারে সমন্বিতভাবে প্রস্ততি গ্রহণ করেছে। সেতু ও সড়ক বিভাগের সচিবরা টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকে নিয়ে আলাদা বৈঠক করেছেন এবং এর প্রেক্ষিতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমন: মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটারজুড়ে টাঙ্গাইল মহাসড়কের প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। ঈদের আগে ও পরের তিনদিন হাইওয়েতে কোনো ট্রাক চলাচল করতে দেওয়া হবে না। অটোরিকশা হাইওয়েতে উঠতে দেওয়া হবে না।

'বঙ্গবন্ধু সেতুতে যে টোল পয়েন্টগুলো আছে, সেগুলো ২৪ ঘণ্টা সচল রাখার জন্য পর্যাপ্ত জনবল, অবকাঠামো ও ক্যাপাসিটি ইতোমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। তারপরেও সেতুতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত সময়ে অপসারণ করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক রেকার ও এক্সট্রা ফুয়েলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই সামগ্রিক প্রস্ততির ফলে আশা করা যাচ্ছে এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হবে', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Dengue deaths: Families left behind to pick up the pieces

As of yesterday, 188 people had died and 44,693, had been hospitalised.

14h ago