মাঝ পদ্মায় নাব্যতা সংকট, শিমুলিয়া-মাঝিরঘাট ফেরি চলাচল বন্ধ

মাঝ পদ্মায় ডুবোচরে সাড়ে ৩ ঘণ্টা আটকে ছিল ফেরি। ছবি: স্টার

পদ্মা নদীর জাজিরার পাইনপাড়া চ্যানেলের মুখে নাব্য সংকটের কারণে শিমুলিয়া-মাঝিরঘাট নৌপথে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিআইডব্লিউটিসির মহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আহমদ আলী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, 'মোটরসাইকেল পারাপারে ফেরি চালু রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু, পদ্মা নদীর জাজিরার পাইনপাড়া চ্যানেলের মুখে নাব্যতা সংকট আছে। এই এলাকায় বেশকিছু ডুবোচর তৈরি হয়েছে। ফলে, এই নৌপথ ফেরি চলাচলের অনুপযোগী। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্যতা সংকট দূর করা হবে। যতদিন না এই নাব্যতা সংকট দূর হচ্ছে ততদিন (অনির্দিষ্টকাল) পর্যন্ত এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।'

এর আগে, পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরি দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপারের সিদ্ধান্ত নেয় বিআইডব্লিউটিসি। মাঝ পদ্মায় ডুবোচরে সাড়ে ৩ ঘণ্টা আটকে থাকার পর মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরি মঙ্গলমাঝি ঘাটে পৌঁছায়। আজ সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় ফেরি কুঞ্জলতা শিমুলিয়া ছেড়ে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে মঙ্গল মাঝি ঘাটে পৌঁছায়। কুঞ্জলতায় ১১৯টি মোটরসাইকেল পার করা হয়। পরে ৫৫টি মোটরসাইকেল এবং কিছু যাত্রী নিয়ে কুঞ্জলতা শিমুলিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

বিআইডব্লিউটিসির মঙ্গলমাঝি ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামিল আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোমবার সকাল থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ আছে। তাই বাধ্য হয়ে মোটরসাইকেল চালকরা শরীয়তপুরের মাঝিরঘাট ফেরিঘাটে আসেন। এসে আমাদের অনুরোধ করেন। তাদের অনুরোধের বিষয়টি বিআইডব্লিউটিসির কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা ফেরির ব্যবস্থা করেন।'

তিনি আরও বলেন, 'নাব্যতা সংকটের কারণে মাঝ পদ্মায় প্রায় ৩ ঘণ্টা ফেরি আটকে ছিল। এখন ফেরি চলা বা না চলার বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিবেন।'

ফেরি কুঞ্জলতার সারেং (মাস্টার) মো. সাইফুল বলেন, 'সকাল সোয়া ১০টার দিকে ফেরি নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে মঙ্গল মাঝির ঘাটের দিকে রওনা দেই। ফেরি চলার আধা ঘণ্টা পর মাঝ নদীতে ডুবোচরে আটকে যায়। প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় ডুবোচর থেকে ফেরি বের করতে সক্ষম হই।'

Comments

The Daily Star  | English
A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

A bitter brew: Climate change and the decline of Sylhet’s tea gardens

Projections by the United Nations Food and Agriculture Organization (FAO) indicate that tea cultivation areas could shrink by 2050.

7h ago