সংগ্রহ করা মাংসের হাট!

ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

ঈদের ছুটিতে ঢাকা শহর বেশ ফাঁকা। ঈদের দিন ফাঁকা ঢাকার বিভিন্ন বড় রাস্তার মোড় ও বাজারের সামনে ছিল ছোট ছোট জটলা। সারাদিন বিভিন্ন বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা মাংস বিক্রি করতে এসব জায়গায় বসেছিলেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের ক্রেতারাও নিম্ন আয়ের। বাজারের তুলনায় দামও অনেক কম।

আজ রোববার রাজধানীর কারওয়ানবাজার রেল গেট, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা এসব জায়গায় মাংস বিক্রি করছেন তাদের প্রায় সবাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করেছেন। এর বাইরে মৌসুমি কসাইয়ের কাজ করে সংগ্রহ করা মাংসও অনেকে বিক্রি করেছেন এসব বাজারে। 

কারওয়ানবাজার রেল গেটের পাশে কথা হচ্ছিল সজিবের সঙ্গে। রাজমিস্ত্রীর কাজ করা সজিব প্রতি বছর কোরবানির ঈদে কসাইয়ের কাজ করেন। এবারও করেছেন। মোট ৫টি গরু কেটেছেন। সেখান থেকে যে মাংস পেয়েছেন তা বিক্রি করছেন।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। টুকটাক রংয়ের কাজও করি। প্রতিবছর কোরবানির ঈদের দিন কসাইয়ের কাজ করি। এবার মগবাজার এলাকায় ৫টি গরু বানাইছি। সেখান থেকে মাংস দিছে। সেটাই বিক্রি করছি।'

কথা হয় মৌসুমি কসাই নিয়ামতের সঙ্গে। তার কাছে ছিল ১৫ কেজির মতো মাংস। তিনি বলেন, 'সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৪টা গরু কেটেছি। সেখান থেকে ভাগে এই মাংস পেয়েছি। বাড়তি কিছু টাকার জন্য এখানে বিক্রি করতে এসেছি। বিক্রি করে রাতে গ্রামের বাড়ি যাব।'

সংগ্রহ করা ২ কেজি মাংস বিক্রি করতে এসেছেন সুরাইয়া আক্তার। তিনি বলেন, 'বিভিন্ন বাসা থেকে এ মাংস পেয়েছি। কিছু পোলাপানের জন্য রাখছি। বাকিগুলো বিক্রি করে টাকা নিবো।'

মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের সামনে মাংস বিক্রি করছিলেন রায়েরবাজারের মমিন। তিনি বলেন, 'প্রতি বছর ঈদের দিন কসাইয়ের কাজ করে এখানে এনে মাংস বিক্রি করি। কসাইয়ের কাজেও পয়সা আসে। আবার বিক্রি করে বাড়তি টাকাও আসে।'

শুধু ঈদ ও তার পরের দিনে বসা এ হাটের ক্রেতারাও নিম্ন আয়ের মানুষ। অন্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে মাংস পেয়ে সন্তুষ্ট তারা।

পূর্ব রাজাবাজার থেকে কম দামে মাংস কিনতে পেরে খুশি ইসলাম মিয়া। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার সামর্থ্য নেই মাংস কেনার। সবার বাসায় মাংস রান্না হলেও আমার বাসায় হয়নি। এজন্য পোলাপাইনের মন খারাপ। তাদের জন্যই কম দামে কিনতে আসছি।'
 

Comments

The Daily Star  | English

Only one agreement under Indian line of credit cancelled: Foreign adviser

Touhid says several agreements mentioned in social media discussions 'don't even exist'

1h ago