ন্যাটোতে সুইডেন-ফিনল্যান্ড: তুরস্কের পর ক্রোয়েশিয়ার ‘শর্ত’

ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোরান মিলানোভিচ
ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোরান মিলানোভিচ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোটে উত্তর ইউরোপের দেশ সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের যোগ দেওয়ার বিষয়ে তুরস্কের পর 'শর্ত' দিলো জোটভুক্ত দেশ ক্রোয়েশিয়া।

গতকাল বুধবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটি এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোরান মিলানোভিচ ন্যাটোয় নিজ রাষ্ট্রদূতকে নতুন ২ দেশের যোগ দেওয়ার বিরোধিতা করার নির্দেশনা দিতে যাচ্ছেন।

প্রেসিডেন্ট মিলানোভিচ গণমাধ্যমকে জানান, তার এ সিদ্ধান্ত প্রতিবেশী বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় 'নির্যাতনের শিকার' ক্রোট জাতিগোষ্ঠীর প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।

বসনিয়ার বর্তমান আইন অনুসারে, দেশটিতে ক্রোট প্রতিনিধিদের নির্বাচিত হতে মুসলিমদের ভোটের প্রয়োজন হয়। জাগরেভ এই আইনের সংস্কার চায়।

ক্রোট প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আগেও বলেছি, রুশ-ফিনিশ সীমান্তের চেয়ে আমার কাছে বসনিয়ার ক্রোটরা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'

সুইডেন ও ফিনল্যান্ড নিজেদের নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে থাকার দীর্ঘদিনের নীতি থেকে সরে এসে গত ১৫ মে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করে।

'তুরস্ক দেখিয়েছে নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষায় কীভাবে লড়াই করতে হয়,' যোগ করেন প্রেসিডেন্ট মিলানোভিচ।

এর আগে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসিপ তাইয়েপ এরদোয়ান সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'সবার আগে যে কথা বলতে চাই তা হলো—যারা তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তাদেরকে ইতিবাচক কিছু বলবো না।'

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, 'তাদেরকে ইতিবাচক কিছু বললে ন্যাটো আর সামরিক জোট থাকবে না। সেখানে (পিকেকে—কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি) "সন্ত্রাসীদের" প্রতিনিধিত্ব চলে আসবে।'

Comments

The Daily Star  | English

A budget without illusions

No soaring GDP promises. No obsession with mega projects. No grand applause in parliament. This year, it’s just the finance adviser and his unemotional speech to be broadcast in the quiet hum of state television.

6h ago