সামাজিক মাধ্যমে পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করল ইন্দোনেশিয়া

ইন্দোনেশিয়া, জাকার্তা, এএফপি, টিকটক, টিকটক শপ, মেটা, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম,
জাকার্তায় টিকটক লাইভস্ট্রিমের মাধ্যমে পণ্যদ্রব্য বিক্রি করছেন তিন জন। ছবি: এএফপি

ইন্দোনেশিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পণ্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী জুলকিফলি হাসান।

আজ বুধবার রাজধানী জাকার্তায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

জুলকিফলি হাসান বলেন, 'গতকাল থেকে এই বাণিজ্য বিধি কার্যকর হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমগুলো নতুন নিয়ম মেনে চলতে এক সপ্তাহ সময় পাবে।'

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ায় টিকটক শপ ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে সস্তায় পণ্য বিক্রির ফলে অফলাইন বিক্রেতাদের ব্যবসা ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে, সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক মাধ্যম ও ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণের আবেদন আরও জোরালো হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'যেকোনো সরকার স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের রক্ষা করবে। তাই ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় সমতা রক্ষায় এই আইন পাস করা হয়েছে।'

এই আইনে সামাজিক মাধ্যমগুলো সরাসরি বাণিজ্য করতে পারবে না, তবে পণ্যের প্রচারণা চালাতে পারবে।

টিকটকের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, 'সামাজিক মাধ্যমগুলো টিভি চ্যানেলের মতো বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারে। কিন্তু, এখানে সরাসরি বাণিজ্য হওয়া উচিত নয়। তারা দোকান খুলতে পারে না, সরাসরি পণ্য বিক্রি করতে পারে না।'

ব্যবহারকারীদের ডেটা নিরাপত্তা ও বেইজিংয়ের সঙ্গে কথিত সম্পর্ক নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে টিকটককে। আর তার মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার এমন সিদ্ধান্ত টিকটকের জন্য আরও একটি ধাক্কা।

দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'অন্য দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে, আমরা তা করছি না।'

ইন্দোনেশিয়া টিকটক শপের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম বাজারগুলোর একটি। তবে, ইন্দোনেশিয়া এই অঞ্চলের প্রথম দেশ যারা সামাজিক মাধ্যমের বাণিজ্য প্ল্যাটফর্মের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।

কিন্তু, চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট ও টিকটকের মালিক বাইটড্যান্স এবং টিকটক ইন্দোনেশিয়া এ ব্যাপারে আজ বুধবার কোনো মন্তব্য করেনি।

তবে টিকটক ইন্দোনেশিয়ার এক মুখপাত্র সোমবার এএফপিকে বলেছিলেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রায় ৬০ লাখ স্থানীয় বিক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যারা তাদের পণ্য এই প্ল্যাটফর্মে বাজারজাত করে।

ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেটা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

20h ago