সজলের ৪ নায়িকা

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

দুই দশক ধরে নাটক, সিনেমা ও ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করছেন আব্দুন নূর সজল। পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা। তার বিপরীতে অনেক নায়িকা অভিনয় করেছেন।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে চার নায়িকা নিয়ে কথা বলেছেন সজল।

মেহজাবীন চৌধুরী

মেহজাবীনের সঙ্গে আমার জার্নিটা অনেক দিনের। তার যখন শোবিজে অভিষেক ঘটে, তখন থেকেই একসঙ্গে কাজ করছি। প্রচণ্ড দায়িত্বশীল একজন অভিনেত্রী। কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা অনেক। ইংরেজি মিডিয়ামে পড়াশোনা করায় শুরুতে বাংলায় সংলাপ দিতে কষ্ট হতো তার। ধীরে ধীরে অভিনয়কে ভালোবেসে ফেলেন। কয়েক বছরের মধ্যে অভিনয়ে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেন। এটা হয়েছে অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে। একসঙ্গে অনেক নাটক করেছি। সবশেষ মেহজাবীন অভিনীত 'সাবা' সিনেমাটি দেখেছি। এত চমৎকার অভিনয় করেছে! তার অভিনয় সবাইকে কাঁদিয়েছে। শিল্পীসহ যেকোনো মানুষকেই সম্মান দেওয়ার বিষয়টি তার ভেতরে প্রবলভাবে কাজ করে।

বিদ্যা সিনহা মিম

মিম যখন ক্যারিয়ার শুরু করে, তখন থেকেই একসঙ্গে কাজ করছি। অসংখ্য নাটক ও টেলিফিল্ম করেছি দুজনে। তার জার্নিটাও কাছ থেকে দেখা। শুরুতে মিমের মা, আমাদের প্রিয় ছবি সাহা আন্টি অনেক গাইড করতেন, কীভাবে আরও ভালো করা যাবে তা বলতেন। তারপর তো দেখতে দেখতে মিম অনেক ভালো করেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ভারতীয় বাংলা সিনেমা, মডেলিং—অনেক কাজ করেছেন। মিম শুধু সহশিল্পী কিংবা আমার নায়িকা নন, ভালো একজন বন্ধু। তার অভিনীত 'পরাণ' আমার খুব ভালো লেগেছে। দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন এই সিনেমায়। শিহাব শাহীন পরিচালিত 'ভালোবাসি তাই' টেলিফিল্মে অভিনয় করে দর্শকদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলাম।

পূর্ণিমা

পূর্ণিমা সিনেমার মানুষ হলেও প্রচুর নাটকেও অভিনয় করেছেন। তার বিপরীতে অনেকগুলো নাটক করেছি। মজার একজন মানুষ। কাজ করতে করতে তার সঙ্গেও ভালো একটা বন্ধুত্ব হয়েছে আমার। পূর্ণিমা সেটে থাকা মানেই আনন্দ। কারো মন খারাপ হলেও বেশিক্ষণ তা থাকবে না। কারণ, মজার মজার কথা বলে পূর্ণিমা পরিবেশটা সহজ করে রাখেন। এটা তার ভালো গুণ। তার ভেতরে ইতিবাচক দিকটা প্রবল। কখনো কারও বিরুদ্ধে কথা বলেন না। যখনই ক্যামেরা সামনে দাঁড়ান, সব ভুলে যান। অভিনয়ে শতভাগ মনোযোগ দেন।

পূজা চেরি

'জ্বীন' সিনেমায় আমার নায়িকা ছিলেন পূজা চেরি। একটি সফল সিনেমা এটি। তার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে মনে হয়েছে—পুরোপুরি ম্যাচিউরড একজন নায়িকা। ভালো অভিনয় করেন। শুটিং না থাকলে সারাক্ষণ দুষ্টুমি করেন, কিন্তু কাজের সময় অন্য মানুষ। পোশাক নিয়েও দারুণ সচেতন। প্রথম শুটিং করার দিন মনে হয়েছিল কেমন হবে? কিন্তু, পরে দেখলাম সহশিল্পী হিসেবে ভীষণ ভালো। অভিনয়টা বুঝে করেন। প্রথম দিন আমাদের শুটিং ছিল ভোর ছয়টায়। সেটে পৌঁছাই রাত আড়াইটায়। তারপর ৬টা ৩০ মিনিটে শুটিং শুরু করি। খুব সিরিয়াস অভিনয় করেন। পূজা চেরি একজন ভালো সহশিল্পী।

Comments