দুই দিন ধরে গ্যাস নেই নারায়ণগঞ্জে, বিপাকে কয়েকশ পরিবার ও কারখানা
ফেটে যাওয়া পাইপলাইন মেরামত না হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ নগরের বিসিক, ফতুল্লা, কাশীপুরসহ বড় অংশে দুই দিনের বেশি সময় ধরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে আবাসিক ভোক্তার পাশাপাশি শিল্পকারখানাগুলোও চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় পঞ্চবটী–মুক্তারপুর উড়ালসড়কের শাসনগাঁও এলাকায় পাইলিংয়ের সময় তিতাসের প্রধান গ্যাস সরবরাহ লাইন ফেটে যায়। ঘটনার পরপরই বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে পুরো এলাকার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তিতাস।
রোববার সকালে অল্প চাপে কিছু সময় সরবরাহ চালু থাকলেও পরে মেরামতের জন্য আবার তা বন্ধ করা হয়।
আজ সোমবার দুপুরে গলাচিপা মোড়ে আমলপাড়ার বাসিন্দা মিঠু ভূইয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুই দিন ধরে চুলা জ্বলে না। প্রতিবেলাতেই পরিবারের চারজনের জন্য খাবার কিনতে বাধ্য হয়েছি।'
জামতলা এলাকার মিষ্টি বেগম জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই গ্যাস নেই। আবাসিক ভবনের ছাদে কাঠ পুড়িয়ে রান্না করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।
কাশীপুরের বাসিন্দা কুলসুম বেগম বলেন, দুইদিন ধরে দুইবেলার রান্না বৈদ্যুতিক চুলায় করছেন।
শিল্পকারখানাগুলোও গ্যাস সংকটে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে।
নগরীর পুলিশ লাইন এলাকার রহমান গার্মেন্টসের সিনিয়র ডিজিএম শিহাব উদ্দিন আহমেদ ডেইলি স্টারকে জানান, দুই দিনে প্রায় ৩৬ টন প্রডাকশন কম হয়েছে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলের ব্যবস্থাপক মশিউর রহমান ডেইলি স্টারকে জানান, পাইপলাইন ফেটে যাওয়ার খবর পাওয়ার পরই মেরামতকাজ শুরু করা হয়।
তিনি আরও বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতের কাজ চলছে। খুব দ্রুতই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা যাবে বলে আশা করছি।'
গত শনিবার সন্ধ্যায় উড়ালসড়কের গাঁথুনি করার সময় পাইপলাইন ফেটে যাওয়ার পর তীব্র শব্দে গ্যাস বের হতে থাকে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে তাৎক্ষণিকভাবে জেলার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তিতাস।
এর আগেও একই প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে তিতাসের পাইপলাইন ফেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে লাইনগুলো মেরামত করে তিতাস কর্তৃপক্ষ।


Comments