পান্থকুঞ্জ পার্কে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ চেম্বার আদালতে বহাল

পান্থকুঞ্জ পার্কের বর্তমান চিত্র। ছবি: গাছ রক্ষা আন্দোলনের সৌজন্যে

হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ পার্কে চলমান এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ বন্ধ করে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত।

তবে, চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. রেজাউল হক একইসঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সরকারকে লিভ টু আপিল দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।

একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ১০ সেপ্টেম্বর নির্মাণকাজের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের করা আবেদনের শুনানি হয় আজ চেম্বার আদালতে।

রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার রিপন কুমার বড়ুয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চেম্বার আদালতের আজকের আদেশের পর হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ আপাতত বন্ধই থাকছে।'

তবে, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খান জিয়াউর রহমান জানান, সরকার লিভ-টু-আপিল দাখিল করলে চেম্বার জজ পরবর্তী আদেশ দেবেন।

গত ১১ সেপ্টেম্বর সরকারের পক্ষ থেকে করা আবেদনে বলা হয়, হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ পার্ক সরকারি জমি এবং সেখানকার উন্নয়ন কাজ জনগণের স্বার্থে করা হচ্ছে। তাই এ কাজের বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট গ্রহণযোগ্য নয় এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ আদালতের আদেশে স্থগিত করা যাবে না।

গত ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেন।

কেন এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিলের ভরাটকৃত অংশ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।

সড়ক পরিবহন, গৃহায়ন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক, রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তর, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

দেশের নয় শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, লেখক, গবেষক ও পরিবেশকর্মী যৌথভাবে এ রিট আবেদন করেন।

আজ শুনানিতে রিটকারীদের পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আরশাদুর রউফ উপস্থিত ছিলেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh to boost LNG imports on lower global prices

Falling spot prices and weak demand in Asia prompt Dhaka to look beyond its initial import plan for this year

12h ago