‘পাহাড় কেটে কেন ভবন করতে হবে’

কর্মশালায় কথা বলছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের প্রবণতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। 

আজ রোববার চট্টগ্রামের একটি হোটেলে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এ প্রশ্নে তোলেন। 

হালদা নদীকে জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ ঐতিহ্যগত স্থান ঘোষণার লক্ষ্যে এ কর্মশালার আয়োজন করে পরিবেশ অধিদপ্তর।

মহাপরিচালক বলেন, 'আমাদের প্রকৌশলীরা পাশ করে এসে আগে পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। কিন্তু পাহাড় কেটে কেন ভবন করতে হবে? পাহাড় বাঁচিয়ে রেখে ভবন নির্মাণ করা কি কোনোভাবে সম্ভব নয়!' 

ড. কামরুজ্জামান আরও বলেন, 'সময়ের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ডাক্তারি ও প্রকৌশল বিদ্যা পড়ে। ৫–১০ বছর পড়াশোনা করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হয়ে ভবন নির্মাণের জন্য পাহাড় কেন কাটতে হবে? পৃথিবীর অনেক দেশে উন্নয়ন হচ্ছে পরিবেশ ও প্রকৃতির উপাদানগুলোকে সহাবস্থানে রেখে। আমরা কেন পারছি না?'

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের উপাচার্য ও হালদা গবেষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী বলেন, হালদা পৃথিবীর বিরল নদীগুলোর একটি। এখান থেকে সরাসরি রুই জাতীয় মাছের ডিম সংগ্রহ করা সম্ভব। অন্য নদীগুলো থেকে কেবল পোনা সংগ্রহ করা যায়।' 

সম্প্রতি প্রকাশিত 'মৎস্য হেরিটেজ' গেজেটের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'গেজেটে বলা হয়েছে, অনুমতি ছাড়া কেউ হালদা নিয়ে গবেষণা করতে পারবে না। গবেষণার ওপর কেন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হবে? গবেষণা তো উন্মুক্ত থাকা উচিত। হালদা নিয়ে একের পর এক গেজেট হচ্ছে, কিন্তু মাছের ডিম উৎপাদনে কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না।'

সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এএইচএম জিয়াউদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক জমির উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Sugar, edible oil imports surge as dollar supply improves

Bangladesh’s imports of key essential commodities rose in the first quarter of fiscal year 2025-26 (FY26), supported by improved availability of foreign exchange and lower prices in the international market.

56m ago