তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩, বইছে হিমশীতল বাতাস

আজ শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বরুনাগাঁও গ্রামের দৃশ্য | ছবি: মো. কামরুল ইসলাম রুবাইয়াত/স্টার

দেশের সর্ব উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাত দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ শুক্রবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এটি চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই মৌসুমে তেঁতুলিয়ায় নয় দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ তাপমাত্রা আরও কমে গেছে। সেই সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হিমশীতল বাতাস। আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় ঠান্ডার তীব্রতা বেড়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'কেবল পঞ্চগড় নয়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ উত্তরের জেলাগুলোতে জেঁকে বসেছে শীত।'

তাপমাত্রা আট থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিবেচনা করা হয়। এর চেয়ে কমে ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে মাঝারি এবং চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেটাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

পূর্বভাস বলছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে দেশে অন্যান্য জায়গায় প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বরুনাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা যতীশ চন্দ্র বর্মণ পেশায় ট্রাক্টরচালক। তিনি বলেন, 'সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও উত্তরের শীতল বাতাস বয়ে যাওয়ায় গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।'

একই গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, 'কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই খেতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ যত্ন না নিলে আলু খেতে পোকামাকড় বা ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।'

একই অভিজ্ঞতা জানিয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার নিশ্চিন্তপুর এলাকার বাসিন্দা মো. সাত্তার বলেন, 'ঠান্ডার কারণে অর্ধেক বেলা রিকশা চালাতে পারি। আমার দৈনিক আয় কমে গেছে।'

'ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়। বিকেল ৪টার পর রিকশা চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়,' যোগ করেন তিনি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আব্দুর রশিদ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার সাহাদাত জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে গত কয়েক দিন ধরে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রকিবুল আলম জানিয়েছেন, শ্বাসকষ্ট এবং অন্যান্য ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে।

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s deadly order

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

6h ago