অধিকৃত গোলান মালভূমিতে রকেট হামলার জবাবে লেবাননে ইসরায়েলি হামলা

ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর মহড়া। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর মহড়া। ফাইল ছবি: রয়টার্স

অধীকৃত গোলান মালভূমিতে রকেট হামলায় ১২ জন কিশোর-তরুণ নিহত হয়েছে। ইসরায়েল এই হামলার জন্য হিজবুল্লাহকে দায়ী করে ইতোমধ্যে লেবাননে হামলা শুরু করেছে।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি ও আল জাজিরা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক বিবৃতির বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে,  পূর্ব লেবাননের বেকআ উপত্যকা, দক্ষিণের শহর টায়ারের শাবরিহা ও বুর্জ এল-শেমালি এবং কাফির লিলা, রাব আল-থালাথিন, খিয়াম ও তায়ের হারফা গ্রামে হিজবুল্লাহর অস্ত্র রাখার গুদাম ও অন্যান্য স্থাপনায় বিমানহামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। 

এখনো এসব হামলার হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

এএফপি জানিয়েছে, গতকাল ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমির একটি ফুটবল মাঠে রকেট হামলা হয়। হামলায় ১২ জন কিশোর-তরুণ নিহত হয়েছে। তাদের সবার বয়স ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।

হামলার পর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, লেবাননের ভূখণ্ড থেকে দেশটির সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ এই রকেট ছুড়েছে।

তবে হিজবুল্লাহ এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে।

এর আগে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, 'এই প্রাণঘাতি হামলার কড়া জবাব দেবে ইসরায়েল। হামলার জন্য হিজবুল্লাহকে চরম মূল্য দিতে হবে। এমন মূল্য তাদেরকে এর আগে চুকাতে হয়নি।'

ইসরায়েলি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান। ফাইল ছবি: রয়টার্স

গতকাল ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও বলা হয়েছিল, তারা হিজবুল্লাহকে জবাব দেবে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, 'হিজবুল্লাহকে জবাব দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত হব...আমরা ব্যবস্থা নেব।'

গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গতকালই সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে বলে জানান ড্যানিয়েল হাগারি।

এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজায় নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলমান এই হামলায় ৩৯ হাজার ২৫৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৮৮ হাজার ছাড়িয়েছে।

হতাহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা বেড়ে চলছে, যা সাম্প্রতিক সময়ে আরও বেড়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s deadly order

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

6h ago