নির্বাচনে হারলে এবারও ‘ঝামেলা’ করার পরিকল্পনা ট্রাম্প সমর্থকদের

গতকাল নিউ মেক্সিকোতে প্রচারণা চালান ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল এখনো মেনে নেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি, ট্রাম্প সমর্থকদের একটি বড় অংশ এখনো বিশ্বাস করে, সেই নির্বাচনের ফল 'চুরি' করে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, একইরকম 'চুরি' যেন এবার না হতে পারে, তা নিয়ে বদ্ধপরিকর রিপাবলিকান শিবির। 'চুরি' হলে, অর্থাৎ ট্রাম্প নির্বাচনে হারলে কীভাবে ফলাফল পাল্টাতে হবে, সেই পরিকল্পনাও করে রেখেছে ট্রাম্পের 'চুরি থামাও' আন্দোলন। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিংহভাগ অঙ্গরাজ্যের ফলাফল প্রতিবার একই থাকে। কয়েকটি রাজ্যে ফলাফল ঘনঘন বদলায়, যেগুলোকে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য (সুইং স্টেট) বলা হয়। এসব অঙ্গরাজ্য নিয়ে পরিকল্পনা সাজানো আছে ট্রাম্প শিবিরের। হতে পারে ক্যাপিটল হিল দাঙ্গার মতো বিক্ষোভও। 

গত মাসে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক বুলেটিনে বলা হয়, নির্বাচন নিয়ে (ট্রাম্প শিবিরের) চরমপন্থি বক্তব্য আবারও ২০২০ সালের মতো সহিংসতা ডেকে আনতে পারে। 

ক্যাপিটল দাঙ্গার তদন্ত করা মার্ক হ্যারিস সিএনএনকে বলেন, 'যারা নির্বাচনের ফলাফল বদলে দিতে চায়, তারা ২০২০ সালের চেয়ে এবার বেশি সংগঠিত। তবে নির্বাচন ব্যবস্থার রক্ষকরাও প্রস্তুত। এখন বিষয়টা কোনদিকে গড়াবে, তা বলা যাচ্ছে না।' 

যেভাবে কমলার জয় আটকে দিতে পারে ট্রাম্প শিবির 

সিএনএন জানায়, কিছু ট্রাম্পপন্থী গোষ্ঠী নির্বাচনে হারলে আইনি প্রক্রিয়ায় এগোতে চায়। যদি এক-দুই রাজ্যের ফলাফল উল্টে দিলেই ট্রাম্পকে জেতানো সম্ভব হয়, তাহলে এরকম রাজ্যগুলোতে নির্বাচনে কারচুপির মামলা দিয়ে ফলাফল বদলানোর চেষ্টা করবে তারা। 

যেহেতু দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর উপরই ফলাফল নির্ভর করতে যাচ্ছে, তাই সেই পাঁচ-সাতটি রাজ্যে আইনি প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে তারা। 

আবার এই নির্বাচনের আরেকটি দিক হচ্ছে, মোট ভোটের ওপর না, রাজ্যের ইলেক্টরদের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়। দোদুল্যমান রাজ্যগুলোর ফলাফল যাই হোক, ইলেক্টররা শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পকেই ভোট দেবেন, এই ব্যবস্থাও করার চেষ্টা করছে কিছু ট্রাম্প-পন্থী গোষ্ঠী। 

আবার সহিংসতার মাধ্যমে নির্বাচন বিঘ্নিত করে ফলাফল পাল্টে দেওয়ার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। সাধারণত বড় শহরগুলোতে ডেমোক্র্যাটরা বেশি ভোট পায়। একটি রাজ্যের যেসব অঞ্চলে ডেমোক্র্যাটদের বেশি পাওয়ার ভোট সম্ভাবনা আছে, সেখানে ট্রাম্প শিবির গোলযোগ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

ট্রাম্পের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মিশেল ফ্লিন সিএনএনকে বলেন, '২০২০ নির্বাচন নিয়ে অসন্তোষের পর এবার গণনা চলছে এমন ভোটকেন্দ্রগুলোতে গিয়ে সহিংসতা চালাতে পারে তারা।' 

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, নির্বাচনী সহিংসতার মাধ্যমে গৃহযুদ্ধ শুরু করে দিতেও প্রস্তুত কিছু চরমপন্থি গোষ্ঠী। তারা সরকারি স্থাপনা ও বিপক্ষ দলের ওপর সরাসরি হামলা করতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Govt employees can now be punished for infractions within 14 working days

Law ministry issues ordinance amending the Government Service Act, 2018

22m ago