গ্রেটা থুনবার্গসহ গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজ আটক ইসরায়েলের

ম্যাডলিনে সর্বশেষ রেকর্ডকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, যাত্রীরা হাত উঁচু করে বসে আছেন। ছবি: সংগৃহীত

গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজ 'ম্যাডলিন'-এর দখল নিয়েছে ইসরায়েল। গ্রেটা থুনবার্গসহ অন্যান্য যাত্রীদের আটক করে জাহাজটিকে ইসরায়েলের আশদাদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আজ সোমবার সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানায়। 

আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) পরিচালিত ত্রাণবাহী জাহাজ 'ম্যাডলিন'-এ করে গাজার ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য ইতালি থেকে ত্রাণ নিয়ে আসা হচ্ছিল। আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকেই জাহাজটি আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। 

জাহাজে গ্রেটাসহ মোট ১২ জন মানবাধিকারকর্মী ছিলেন। 

জাহাজ আটক হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ফিলিস্তিনপন্থী দুটি এক্স একাউন্টে গ্রেটা ও ব্রাজিলের মানবাধিকারকর্মী থিয়াগো আভিলার দুটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। পূর্বে রেকর্ড করা এই দুই ভিডিওতে তাদের বলতে শোনা যায়, 'আপনি যদি এই ভিডিও দেখতে পান, তার অর্থ দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী বা ইসরায়েল সমর্থিত কোনো বাহিনী আমাদের অপহরণ করেছে।'

জাহাজটি থেকে করা সেই ভিডিও বার্তায় গ্রেটাকে বলতে শোনা যায়, 'আমি আমার সব বন্ধু, পরিবার ও সহকর্মীদের অনুরোধ করছি, আমি ও আমার সঙ্গীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুক্তির ব্যবস্থা করার জন্য সুইডিশ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করুন।'

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাহাজ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওই পোস্টে জাহাজটিকে 'সেলফি ইয়ট' বলে আখ্যা দিয়েছে ইসরায়েলি মন্ত্রণালয়। 

জাহাজটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা আল জাজিরা জানায়, গাজার ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি আসতেই এতে আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। দুটি ড্রোন জাহাজের কাছে যাত্রীদের উপর সাদা রঙের একটি পদার্থ স্প্রে করে, যার পরই জাহাজটির সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। 

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঠিক আগে রেকর্ড হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, জাহাজের যাত্রীরা হাত উঁচু করে বসে আছেন। তাদের মোবাইল ফোন সাগরে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তারা সেই নির্দেশ অনুসরণ করছেন।

গ্রেটা ও থিয়াগোর সঙ্গে এই জাহাজে আরও আছেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসান, জার্মানির ইয়াসেমিন আচার, ফ্রান্সের ব্যাপতিস্ত আন্দ্রে, ফ্রান্সের ওমর ফায়াদ, পাস্কাল মৌরিয়েরাস, ইয়ানিস মোহামদি, তুরস্কের সুলাইব ওর্দু, স্পেনের সার্জিও তোরিবিও, নেদারল্যান্ডসের মার্কো ফন রেনেস ও ফ্রান্সের রিভা ভিয়া।

বিভিন্ন ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠন এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি কাউন্সিলও এই ঘটনায় 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছে।

গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ আটকের এই ঘটনাকে 'সংগঠিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ' বলে আখ্যা দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

7h ago