ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনয়ন দেবেন জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী তাকাইচি
এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে টোকিও গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঐতিহ্যবাহী শহরটিতে পা রাখতে না রাখতেই ট্রাম্পকে প্রশংসার সাগরে ভাসিয়েছেন দেশটির সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি।
আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
ইতোমধ্যে ট্রাম্পের টোকিও সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান আজ মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ ও বিরল খনিজ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন ও সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে একটি চুক্তি সই করেছে।
ট্রাম্পের সফর আন্তর্জাতিক ময়দানে তাকাইচির প্রথম পরীক্ষা। জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দিকে গোটা বিশ্বের নজর। এই পরিস্থিতিতে সব ধরনের প্রশংসা, স্তুতি ও আপ্যায়নে ট্রাম্পকে মুগ্ধ করার চেষ্টা চালিয়েছেন তাকাইচি।
তাকাইচি দাবি করেন, এই চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে টোকিও-ওয়াশিংটন সম্পর্কের 'সোনালি যুগের' সূচনা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী আগামী বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
রক্ষণশীল নেতা তাকাইচির সঙ্গে এবারই ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎ।
ট্রাম্প বলেন, জাপানের 'সবচেয়ে শক্তিশালী পর্যায়ের' মিত্রদের মধ্যে ওয়াশিংটন অন্যতম।
আকাসাকা প্রাসাদের গেস্টহাউসে ট্রাম্প, তাকাইচিকে বলেন, '(প্রধানমন্ত্রী হিসেবে) আপনার মেয়াদের একদম শুরুতে আপনার সান্নিধ্যে এসে সম্মানিত বোধ করছি।'
তিনি মত দেন, তাকাইচি জাপানের ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা প্রধানমন্ত্রীদের একজন হবেন।
তাকাইচি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি সাক্ষরে ট্রাম্পের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি ট্রাম্পের ফর্মুলা অনুযায়ী সম্পাদিত গাজার চুক্তিকে 'ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন অর্জনের' আখ্যা দেন।
তিনি বলেন, 'এটা জাপান-যুক্তরাষ্ট্র মৈত্রীর একটি নতুন, সোনালি যুগ, যেখানে উভয় দেশই আরও শক্তিশালী ও সমৃদ্ধিশীল হয়ে উঠবে।'
চলতি মাসে বিরল খনিজ শিল্পে বড় ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চীন। যার জবাবে চীনের পণ্য আমদানিতে শতভাগ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
এশিয়া সফরের শেষভাগে দক্ষিণ কোরিয়ায় এ বিষয়গুলো নিয়ে চীনের নেতা শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক হবার কথা রয়েছে।
কুয়ালালামপুর থেকে টোকিও আসার পর শিগগির সিউলের উদ্দেশে রওনা হবেন ট্রাম্প।
মেয়াদের শুরু থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাপের মুখে আছেন তাকাইচি। আততায়ীর হাতে নিহত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে ট্রাম্পের সুসম্পর্ক ছিল।
টোকিওতে ট্রাম্প-তাকাইচির বৈঠকে নিরাপত্তা ও বাণিজ্যের বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়। ট্রাম্প চান ন্যাটো সদস্যদের মতো জাপানও মোট জিডিপির পাঁচ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে খরচ করুক।
যদিও দেশটির প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা দুই শতাংশ। তাকাইচি জানিয়েছেন, আগামী বছর সে লক্ষ্য অর্জন হবে।
তবে বিশ্লেষকদের মত, ট্রাম্পের মন পেতে শুধু বাণিজ্য নয়, সামরিক বিষয়গুলোতেও জাপানকে আরও এগিয়ে আসতে হবে।


Comments