নতুন গণমাধ্যম নীতি নিয়ে আপত্তি, পেন্টাগনের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক টাইমসের মামলা

রয়টার্স ফাইল ফটো

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের (পেন্টাগন) নেওয়া নতুন গণমাধ্যম নীতিমালাকে 'মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য হুমকি' হিসেবে উল্লেখ করে দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিউইয়র্ক টাইমস।

আজ বৃহস্পতিবার কলম্বিয়া ডিস্ট্রিক্ট আদালতে নিউইয়র্ক টাইমস এ মামলা করে বলে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

ওয়াশিংটন পোস্ট, ফক্স নিউজ, রয়টার্সসহ আরও অন্তত ৩০টি গণমাধ্যম ইতোমধ্যে নতুন ওই নীতির বিষয়ে তাদের আপত্তি জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন নীতিমালা পেন্টাগনে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হবে। গত মাসের নতুন নীতি অনুযায়ী, সাংবাদিকরা 'নিরাপত্তা ঝুঁকি' হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন এবং 'ক্ল্যাসিফায়েড' তথ্য জানতে চাইলে তাদের পেন্টাগনে প্রবেশের অনুমতি (প্রেস ব্যাজ) বাতিল হতে পারে।

মামলায় পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র শন পারনেলের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নতুন নীতিমালায় সই না করে ইতোমধ্যে ফক্স নিউজ, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও রয়টার্সসহ অন্তত ৩০ সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা তাদের পেন্টাগন ব্যাজ ফেরত দিয়েছে।

তাদের অভিযোগ, নীতিটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহের ক্ষমতার ওপর গুরুতর আঘাত।

নিউইয়র্ক টাইমসের মামলায় বলা হয়, নতুন নীতিমালা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে। একইসঙ্গে এটি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন এবং মার্কিন সামরিক বাহিনী ও এর নেতৃত্ব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জনসাধারণের কাছে পৌঁছাতে বাধা দেবে।

পত্রিকাটির মুখপাত্র চার্লি স্ট্যাডল্যান্ডার বলেন, 'সরকার যে ধরনের সংবাদ পছন্দ করে না, তা নিয়ন্ত্রণ করাই এই নীতির উদ্দেশ্য—যা সংবিধানের প্রথম ও পঞ্চম সংশোধনীতে উল্লেখ করা স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকারের পরিপন্থী।'

মামলার বিষয়ে পেন্টাগন বা হোয়াইট হাউসের কোনো মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

পেন্টাগনের নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, সংবেদনশীল তথ্য সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে সুরক্ষিত। তাই এমন তথ্য চাওয়ার চেষ্টা করা 'নিরাপত্তা ঝুঁকি' হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

সাংবাদিকরা দীর্ঘকাল ধরে পেন্টাগনে তাদের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেখানে কাজ করার ক্ষেত্রে ব্যাজ পাওয়ার জন্য তাদের অতীত ইতিহাসও দেখা হতো।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমগুলো সম্প্রতি পেন্টাগনে ব্যাজ ফেরত দেওয়ার পর মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ নতুন সাংবাদিকদের সেখানে সুযোগ করে দিচ্ছে, যাদের বেশিরভাগই ট্রাম্পপন্থী গণমাধ্যমের কর্মী।

তাদের নিয়ে গত মঙ্গলবার পেন্টাগন একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজনও করে।

এর আগে, সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ সীমিত করার অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারিতে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) হোয়াইট হাউসের তিন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করে, যারা ট্রাম্পের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সেসময় 'গালফ অব মেক্সিকোকে' সরকারি নির্দেশে 'গালফ অব আমেরিকা' হিসেবে উল্লেখ না করায় এপির প্রেস অ্যাক্সেস সীমিত করেছিল হোয়াইট হাউস।

এপ্রিলে ফেডারেল বিচারক এপির পক্ষে একটি প্রাথমিক আদেশ দেন। পরে জুনে ডিসি সার্কিট কোর্ট সরকারের দায়ের করা আপিলের শুনানি পর্যন্ত ওই আদেশ সাময়িক স্থগিত রাখে।
 

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

7h ago