ঘর সাজাতে বর্ণিল আলো

ছবি: সংগৃহীত

ঈদ কিংবা উৎসব মানেই বাড়িতে অতিথিদের আনাগোনা। নিমন্ত্রণকারীরা চান আমন্ত্রিতরা পাক সর্বোচ্চ কদর। তাই শেলফ থেকে বের করা নতুন ডিনার সেট থেকে বিছানায় সুন্দর চাদর- সাধ্যের মধ্যে সবটুকু দিয়েই চলে অতিথি বরণ। ঘরের চেহারা অতিথির কাছে আরও আকর্ষণীয় করতে অন্দরসাজে রাখতে পারেন দৃষ্টিনন্দন বাতিও।

ওয়াল লাইট

আধুনিক অন্দরসাজে আগ্রহী হলে দেয়ালে ঝোলাতে পারেন সিঙ্গেল বা ডাবল ওয়াল লাইট। ঠিক জায়গায় লাগালে এসব লাইটে ঘরে যথেষ্ট আলো হবে, মিলবে শৌখিনতার পরিচয়ও।

বেত, কাঠের তৈরি বা ধাতব হ্যাঙ্গিং লাইট

সাধারণ ও শৈল্পিক এই লাইটগুলো অন্দরসাজে রাখবে আধুনিক আর বোহেমিয়ান ধরনের মেলবন্ধন। বেত, কাঠ বা ধাতুর তৈরি এই ফ্রেমগুলো খুব হালকা হয়। চাইলে ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিজেও এ ধরনের লাইট বানিয়ে ফেলতে পারেন। বারান্দায় সূর্যের পর্যাপ্ত আলো পড়লে বেছে নিতে পারেন সৌরশক্তি চালিত লাইট।

টেবিল ল্যাম্প

পড়ার জন্য টেবিল ল্যাম্প গুরুত্বপূর্ণ, আবার হালফ্যাশনেও বেশ মানানসই এটি। তবে টেবিল ল্যাম্প যেহেতু আলোকসজ্জার নতুন কোনো উপকরণ নয়, সেহেতু কেনার আগে বাছাই করুন অভিনব কোনো ডিজাইন।

শ্যান্ডেলিয়র লাইট

আগেকার দিনের ঝাড়লণ্ঠন আধুনিক রূপে অন্দরসজ্জায় ফিরেছে আবার। পুরনো দিনের আসবাব যাদের, কিংবা বাড়ি সাজিয়েছেন সেরকম আসবাবে- তাদের বাড়িতে সূক্ষ্ম কাজ করা শ্যান্ডেলিয়র লাইট দিবে আভিজাত্যের ছোঁয়া।

সাসপেন্ডেড লাইট

যাদের বাড়ির ছাদের উচ্চতা বেশি, তাদের জন্য বেশি উপযোগী সাসপেন্ডেড লাইটগুলো। প্রশস্ত, গোল, চারকোণাকার, ত্রিকোণাকার বিভিন্ন ধরনের  লাইট থেকে বাছাই করতে পারেন পছন্দমতো।

ট্রাইপড ল্যাম্প-ফ্লোর ল্যাম্প

ঘরের কোণে জায়গা থাকলে সাজিয়ে রাখতে পারেন একটা লম্বা ট্রাইপড ল্যাম্প। এতে সাধারণত কাঠের ৩টি স্ট্যান্ডের ওপর একটা ল্যাম্পশেড লাগানো থাকে। এ ছাড়াও ফেস্টিভ লাইট, ফ্লাশ মাউন্ট লাইট বা কনসিল্ড লাইটও এখন অন্দরসাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ঘরের ছাদের চারপাশের কর্নারগুলো ওয়ার্ম লাইট দিয়েও সাজানো যায়। অন্ধকারে ওয়ার্ম লাইট প্রশান্তি দিবে যে কাউকেই। ওয়ার্ম লাইটের চাহিদা পূরণ করতে ব্যবহার করা যায় কর্নার ল্যাম্প। আকর্ষণীয় কোনো কর্ণার ল্যাম্প লিভিং রুমের পুরো আবহকেই পরিবর্তন করে দিতে পারে। পরিশেষে এমন লাইটই বাছাই করুন, যা ইন্টেরিয়রের সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যায়।

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago