দুই গুণী আবুল মনসুর আহমদ ও মযহারুল ইসলাম স্মরণে একক বক্তৃতা

একক বক্তৃতার আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, ছবি: বাংলা একাডেমি

সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ এবং লেখক ও ফোকলোরবিদ অধ্যাপক মযহারুল ইসলামের স্মরণে একক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার (২০ মে) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি, পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. সরকার আমিন। বক্তৃতা প্রদান করেন যথাক্রমে কবি ও গবেষক ইমরান মাহফুজ এবং বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক, গবেষক ও ফোকলোরবিদ শাহিদা খাতুন। 

সেলিনা হোসেন বলেন, আবুল মনসুর আহমদ বাঙালি মুসলমানের প্রগতিমুখী চিন্তার বিকাশে নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। অপরদিকে মযহারুল ইসলাম লোকসংস্কৃতি-চর্চায় নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছেন। 

সরকার আমিন বলেন, আবুল মনসুর আহমদ এবং মযহারুল ইসলাম আমৃত্যু আমাদের সাহিত্য, সাংবাদিকতা এবং সাংস্কৃতিক জগতকে তাঁদের মৌলিক চিন্তা এবং মানবমুখী তৎপরতার মাধ্যমে আলোকিত করে গেছেন।
  
ইমরান মাহফুজ বলেন, আবুল মনসুর আহমদ আমাদের সাহিত্য, সাংবাদিকতা ও রাজনীতির জগতে এক বিশিষ্ট নাম। তিনি জনমানুষের কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন বলেই তাঁর রঙ্গব্যঙ্গ রচনায় সমকালীন অসঙ্গতি যেমন ফুটে উঠেছে তেমনি তিনি সাংবাদিকতা এবং রাজনীতিচর্চার মাধ্যমেও সকল অসঙ্গতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন এবং একটি মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নিবেদিতচিত্তে কাজ করে গেছেন। বর্তমান সাংবাদিকতার সংকট কাটাতে তাঁর চিন্তা আদর্শ চর্চা অত্যন্ত জরুরি। 

শাহিদা খাতুন বলেন, মযহারুল ইসলাম আধুনিক ফোকলোরচর্চায় এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি ফোকলোরচিন্তার বিশ্বব্যাপী সূত্রকে আত্মস্থ করে বঙ্গীয় ফোকলোরকে সেই বৈশ্বিক ধারায় যুক্ত করেছেন। স্বাধীনতার পর বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক থাকাকালে আধুনিক বাংলা একাডেমির সত্তাসৌধ নির্মাণ করেছেন। 

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্তাজ।  

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

5h ago