জামালপুরে কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা, সংঘর্ষ-গুলিতে নিহত ৬

ছবি: সংগৃহীত

জামালপুর জেলা কারাগারে কারাবন্দিরা বিদ্রোহ করে বের হওয়ার চেষ্টা করার সময় কারারক্ষীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন। সেসময় জেলারসহ ১৪ জন কারারক্ষী ও পাঁচজন কারাবন্দি আহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার দুপুরে জেলার আবু ফাত্তাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত কয়েদিরা হলেন—জামালপুর সদর উপজেলার ফহিমের ছেলে আরমান, মাসুদের ছেলে শ্যামল, নুরুল ইসলামের ছেলে জসিম, ফজলে রাব্বি বাবু, রায়হান ও রাহাত।

ফজলে রাব্বি বাবু, রায়হান ও রাহাতের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

আহত কারারক্ষীদের মধ্যে রুকনুজ্জামানের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহত জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কয়েদিদের একটি অংশ কারাগারে অগ্নিসংযোগ ও ফটক ভেঙে পালানোর চেষ্টা করেন। বন্দি আসামিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যান। তাদের একটি পক্ষ মুক্তির জন্য বিদ্রোহ করলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে ওই বিদ্রোহী গ্রুপ প্রথম গেট ভেঙে কারাগার থেকে বের হয়ে আসে এবং দ্বিতীয় গেট খুলে দেওয়ার জন্য জেলার আবু ফাতাহসহ করারক্ষীদের ওপর আক্রমণ করে।

গেট খুলে দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিদ্রোহীরা জেলারের ওপর আক্রমণ ও মারধর করে। পরে বন্দিদের অপরপক্ষের সহায়তায় জেলার কারাগার থেকে বের হতে পারলেও ১০ জন কারারক্ষী আটকা পড়েন।

বিদ্রোহী বন্দিরা গেটে আক্রমণ করেন। এসময় কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে থাকেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কারারক্ষীদের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কারাগারে অবস্থান নেন। প্রায় ১০ ঘণ্টা গোলাগুলির পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জেলার আবু ফাত্তাহ বলেন, এ ঘটনায় ছয়জন বন্দি নিহত এবং ১৪ জন কারারক্ষী ও পাঁচজন কারাবন্দি আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

17h ago