মন্ত্রীর বক্তব্যের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি: গোলাম মর্তুজা হানিফ

গোলাম মর্তুজা হানিফ। ছবি: সংগৃহীত

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের নির্বাচনী সভায় হুমকি দেওয়ার বক্তব্যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি গোলাম মর্তুজা হানিফ।

তিনি লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সিরাজুল হকের 'ঈগল' প্রতীকের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারনা করছেন।

মঙ্গলবার সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ তার নির্বাচনী সভায় আমাকে হুমকি দিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মন্ত্রীর সমর্থকরা আমার বিরুদ্ধে আজবাজে কথা রটিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা আমাকে দেখলে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছেন।'

'আমি এ বিষয়ে সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছি,' তিনি বলেন।

গোলাম মর্তুজা হানিফ জানান, 'সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আমার ঘাড় মটকে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গত শনিবার রাতে মন্ত্রী কালীগঞ্জ উপজেলার চামটাহাট এলাকায় নির্বাচনী সভায় এ বক্তব্য দেন।' 

তিনি বলেন, 'আমি মন্ত্রীর কিছু দুর্নীতি, অনিয়ম তুলে ধরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দিয়েছিলাম। এ কারণে মন্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন।' 'আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে ন্যায় বিচার না পেলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবো,' বলেন তিনি।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ উপজেলা) আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

লালমনিরহাট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মর্তুজা হানিফের আবেদন পেয়েছেন। বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

15 military officers held in army custody taken to ICT amid tight security

The tribunal is set to review the progress of two cases of enforced disappearance

17m ago