লালমনিরহাটে থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ২ আসামির একজন গ্রেপ্তার

লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুই আসামির একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার ভোরে পাটগ্রাম উপজেলার মির্জারকোর্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান।

গ্রেপ্তার আসামির নাম সোহেল রানা চপল। পলাতক অপর আসামির নাম বেলাল হোসেন।

পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে (২ জুলাই) লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে পাটগ্রাম শহরের পাশে সরোওর বাজার এলাকায় পাথর ও বালুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজির সময় সোহেল ও বেলালকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

ওই রাতেই দুজনকে থানায় নেওয়ার পর ২০০ থেকে ২৫০ জনের একটি দল পাটগ্রাম থানায় হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা থানা ভবনে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে সোহেল ও বেলালকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলায় পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আট পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতদের মধ্যে দুজন বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে থানার এসআই শামসুল হক বাদী হয়ে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ২৭ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়, এছাড়া অজ্ঞাত আরও শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে স্থানীয় এক বিএনপি নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন—ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রহমতপুর মেসিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাহিদুল ইসলাম, সোহাগপুরের আব্দুর রশিদ, বাউড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান ও একই গ্রামের আবুল কালাম।

এদিকে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দলে শৃঙ্খলাভঙ্গ ও সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগে বিএনপি ও যুবদল থেকে দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন—পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপির সদস্য বাদশা জাহাঙ্গীর মোস্তাজির চপল এবং পাটগ্রাম পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হোসেন। পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি শপিকার রহমান বহিষ্কারাদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, 'ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও এবং অন্যান্য তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছি। তাদের গ্রেপ্তারে ধারাবাহিক অভিযান চলছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

17h ago