কিট সংকটে ডোপ টেস্ট বন্ধ, কুষ্টিয়ায় আটকে আছে ৩ হাজার ড্রাইভিং লাইসেন্স

বিআরটিএ কুষ্টিয়া সার্কেল। ছবি: সংগৃহীত

কিট সংকটে কুষ্টিয়ায় বন্ধ আছে পেশাদার গাড়ি চালকদের জন্য বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট। ডোপ টেস্ট না হওয়ায় নতুন লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন করতে পারছেন না গাড়ি চালকরা।

জেলা বিআরটিএ ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, টেস্ট কিট ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে ডোপ টেস্ট করা সম্ভব হচ্ছে না।

এতে লাইসেন্স না পাওয়া বা নবায়ন করতে না পারায় হয়রানি হতে হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার গাড়ি চালককে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি বছর ৩০ জানুয়ারি থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সারা দেশে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করে সরকার। কুষ্টিয়া জেলায় ডোপ টেস্ট চালু হয় গত ১৫ জুন। কিন্তু দেড় মাসের মাথায় হঠাৎ করে ডোপ টেস্ট বন্ধ হয়ে যায়।

সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া বিআরটিএ গত ১২ আগস্ট ৩ হাজার ২২০ জন চালকের নতুন লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের জন্য ডোপ টেস্ট করতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের দপ্তরে নামের তালিকা পাঠায়।

তাদের মধ্যে ৯৬৫ জনের ডোপ টেস্টের ফলাফল পাওয়া গেছে। টেস্টে ১৫ জনের পজিটিভ আসায় লাইসেন্স দেওয়া স্থগিত করা হয়েছে। এখনো ফলাফলের অপেক্ষায় আছেন ২ হাজার ২৫৫ জন। এদিকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষমাণ তালিকা প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে বলে সূত্র জানায়।

কবে কিট এসে পৌঁছাবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে বিআরটিএ কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আতিকুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত জুলাই মাসের ২৪ তারিখে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টেস্ট কিট ফুরিয়ে যাওয়ার তথ্য জানায়।

তিনি বলেন, 'প্রতিদিনই এ বিষয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি। হাসপাতালে এখনো টেস্ট কিট আসেনি।'

তিনি জানান, প্রতিদিন গড়ে ৫০-৬০ জন লাইসেন্স প্রত্যাশী চালককে ডোপ টেস্টের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু টেস্ট করা সম্ভব হচ্ছে না।

কুষ্টিয়া বাস মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি নূরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে জানান, কুষ্টিয়া অঞ্চলের চালকদের রাস্তাঘাটে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে লাইসেন্সের জন্য। মামলার ভয়ে চালকদের অনেকেই আন্তঃজেলা বাস চালাতে চাচ্ছেন না।

যোগাযোগ করা হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল মোমেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাজেট প্রাপ্তি সাপেক্ষ টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিট কেনা হবে।'

তবে কবে বাজেট হবে এবং কিট কেনা সম্ভব হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কোনো তথ্য তিনি জানাতে পারেননি।

জানতে চাইলে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 'ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Shibir-backed candidates Shadik, Farhad leading in top two Ducsu posts

Counting going on till 6:00am; turnout 78% in polls marked by festivities

3h ago